অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পেঁয়াজের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো অর্থ দেয়া। পেঁয়াজের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যা চাইবে সব দেয়া হবে। আমার জানামতে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট তৈরী হওয়ার সাথে সাথে পেঁয়াজের উপর ইমপোর্ট ডিউটিও বাতিল করা হয়েছে। তাই পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রেও কোন বাধা থাকার কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে পেঁয়াজের সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে।
আজ শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত রণদা প্রসাদ সাহার ১২৩তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তিনি বাঙালি জাতিকে নতুন এক আশা দেখিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে, যার মাধ্যমে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে বিশিষ্ট দানবীরে এই রণদা প্রসাদ সাহাকে অপহরণ ও হত্যা করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে তার হাত ধরেই।
এরপর অর্থমন্ত্রী কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস, নার্সিং কলেজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন এবং রোগীদের খোঁজ খবর নেন।
তিনি আরও বলেন, যে অর্থনীতিতে দূর্নীতি থাকে সেই অর্থনীতি টেকসই হতে পারে না। আমরা টেকসই উন্নয়ন করবো। সকল ধরনের দুর্নীতিকে বাদ দিয়ে সামনে এগিয়ে যাবো। দুর্নীতির ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, একেবারে শুন্য হাতে শুরু করে জীবন সংগ্রামে সফলতা লাভ করা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। তবে কারো জীবনে তা অর্জিত হয়েছে কঠোর পরিশ্রম,অধ্যবসায় আর অদম্য সাহসিকতা ও ধৈর্য্য নিয়ে। যে মানুষটি অর্থের অভাবে মায়ের চিকিৎসা করাতে পারলেন না, সেই মানুষটির প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে এখন প্রতিদিন প্রায় দুই সহস্রাধিক রোগীকে সহজলভ্য চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। যে মানুষটি পাহাড়সমান দারিদ্র্যতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেন, সেই মানুষটিই এশিয়া মহাদেশের অন্যতম একজন দানবীর ও মানবসেবক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেন। একটি শিক্ষাকেন্দ্রের অভাবে যেখানে নারীশিক্ষা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন, এই মানুষটির অবদানেই আজ হাজারো নারী সুশিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের নারীসমাজ আলোকিত করছে। যার প্রতিষ্ঠিত ভারতশ্বরী হোমস, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল, কুমুদিনী কলেজের মতো নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নারী শিক্ষার অগ্রদূত হিসাবে আজও আপন মহিমায় দাড়িয়ে আছে। আর সেই মানুষটি হলেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের মির্জাপুর গ্রামের দানবীর রায় বাহাদুর রণদা প্রসাদ সাহা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্টের ব্যপস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা,কুমুদিনী কল্যান সংস্থার পরিচালক (শিক্ষা) ভাষা সৈনিক মিস প্রতিভা মুৎসুদ্দি, ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, অর্থ মন্ত্রালয়ের অর্থ সচিব মো.আব্দুর রউফ তালুকদার, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মালেক মুস্তাকিম,সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.মাঈনুল হক, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সাইদুর রহমান,কুমুদিনী উমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা.আব্দুল হালিম প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা