ময়মনসিংহের ফুলপুরে নিখোঁজ যমজ তিন বোনকে শেরপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার শেরপুর জেলার নকলা থেকে একজনকে এবং বুধবার ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশীবাজার এলাকা থেকে আরো দুইজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহের ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহের ডিবি’র ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি গ্রামের আব্দুর রহমানের তিন যমজ কন্যা ভাইটকান্দি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী আবিদা সুলতানা পপি (১৫), শাহানা সুলতানা সুমা (১৫) ও রেজিয়া সুলতানা চম্পা (১৫) গত ১৫ জুন ভোরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে তাদের চাচা আবদুছ সালাম ওইদিনই ফুলপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি ডিবির নেতৃত্বে ১৭ জুন অপরাহ্নে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গুণবর্দী গ্রামের এক বাড়ি থেকে নকলা থানা পুলিশের সহায়তায় আবিদা সুলতানা পপিকে উদ্ধার করা হয়। পপি পুলিশকে জানায়, শেরপুর জেলার কয়েকজন যুবক সিএনজি চালিত অটোরিকসাযোগে তার দুই বোনকে ঝিনাইগাতি উপজেলার গ্রামাঞ্চলে নিয়ে গেছে।
এদিকে বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন জানান, ১৮ জুন নিখোঁজ তিন কন্যার বাবা আব্দুর রহমান ফুলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার আজিজুল হকের ছেলে সুলতান মাহমুদ সবুজ (৩০) ও শেরপুর সদর উপজেলার নওহাটা গ্রামের মনির মিয়া ওরফে মনিরের ছেলে মাসুদ রানাকে (১৯) এবং মোবাইল ট্র্যাকিং করে এজাহারভূক্ত আসামি ঝিনাইগাতি উপজেলার তিলকান্দি গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মোমেন মিয়া (২৫) ও তার স্ত্রী সুরাইয়া রাহাকে (১৮) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। মোমেন মিয়ার দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার সহোদর মুন্না মিয়া (১৯) ও ঝিনাইগাতি উপজেলার নওহাটা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে জুয়েল মিয়াকে (২৬) তার শ্বশুরবাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার নকশীবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার এবং তাদের হেফাজতে থাকা নিখোঁজ শাহানা সুলতানা সুমা (১৫) ও রেজিয়া সুলতানা চম্পাকে (১৫) উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, পরিবারের সাথে অভিমান করে যমজ ছোট বোন পপিকে সাথে নিয়ে সুমা ও চম্পা তাদের প্রেমিকের সাথে ঘর ছেড়ে চলে যায়। তাদেরকে শেরপুরের নকলা ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় নিয়ে রাখা হয়। বিষয়টি যেহেতু চাঞ্চল্যকর তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিখোঁজ তিন বোনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা