০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঢাবির শতবর্ষপূর্তির চতুর্থ দিনে আলোচনা সভায় স্মৃতিচারণ

-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের চতুর্থ দিনের আলোচনা সভা গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সঙ্গীত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তির থিম সং পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা পর্বের সূচনা করা হয়।
আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ সর্বদা মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে নিজেদের আলোকিত করেছেন এবং সমাজ দেশ ও জাতিকে আলোকিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও অনাগত শিক্ষার্থীদের এই আলোয় আলোকিত হওয়ার জন্য এসব চর্চা অক্ষুণœ রাখতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সব আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জন থেকে আজ পর্যন্ত যা কিছু বাংলাদেশের অর্জন হয়েছে তার পেছনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য অবদান রয়েছে। এখনকার তরুণ প্রজন্ম যারা দেশের জন্য অবদান রাখছেন তাদের বেশির ভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ভবিষ্যতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রাখবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করি। ষাটের দশকে এই ক্যাম্পাসে এসে আমি বঙ্গবন্ধুকে চিনেছি, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রাম-নেতৃত্ব দেখেছি এবং বাংলাদেশকে চিনেছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মো: শাহাদত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: মশিউর রহমান এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: নিজামুল হক ভূঁইয়া।
আলোচনা পর্ব শেষে দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement