পদ্মা ও মেঘনা, কালাবদর, তেঁতুলিয়া নদীসহ ৫ অভয়াশ্রমে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে। এর পরপরই রাত থেকেই নদীতে ইলিশ শিকারে নেমেছেন ৪ লাখ ২১ হাজার জেলে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যে জেলেরা নদীতে নেমেছেন বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
বরিশালে বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, আমাদের অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশাবাদী। নিষেধাজ্ঞার এ সময় ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৮৯ জেলেকে চাল দেয়া হয়েছে। এ সময় প্রত্যেক জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে মোট ৩৬ হাজার ৮৬২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। ছোট ইলিশ মাছকে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতে দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ অভয়াশ্রমে এ নিধেজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ লাখ ৭১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছিল বলে জানান তিনি। গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৯২ কিলোমিটার জলসীমায় এ নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা অভয়াশ্রমের সীমানা ছিল ভোলার ইলিশার মদনপুর থেকে ভোলার চরপিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহাবাজপুর চ্যানেলের ৯০ কিলোমিটার। ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার। এ ছাড়া চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এবং শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে ভেদরগঞ্জ পর্যন্ত নিম্ন পদ্মার ২০ কিলোমিটার। এ ছাড়াও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর নদীর হবিনগর পয়েন্ট থেকে মেহেন্দিগঞ্জের বামনীরচর, মেহেন্দিগঞ্জের গজারিয়া নদীর হাট পয়েন্ট থেকে হিজলা লঞ্চঘাট, হিজলার মৌলভীরহাট পয়েন্ট থেকে মেহেন্দিগঞ্জ সংলগ্ন মেঘনার দক্ষিণ-পশ্চিম জাঙ্গালিয়া পয়েন্ট পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা