২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নাফ নদী নির্ভর জেলেদের দুঃসময়

-

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও মাদক ইয়াবা ঠেকাতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর হতে নাফ নদীতে মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এর ফলে নাফ নদী নির্ভর দেড় হাজারে অধিক জেলেদের ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে হতাশা-গ্লানি ক্রমশই বাড়ছে। তিনবেলা ভাতের যোগাড়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অভাব-অনটনের কারণে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখাও বন্ধ। এর ওপর খাবার পানি, চিকিৎসা, যাতায়াতের কষ্ট তো আছেই। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদীর তীরের জেলেদের এমনই দুঃসময় এখন।
এতে জেলে পরিবারে চরম অভাব নেমে এলেও বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নানা কৌশলে মাদকের চালান বন্ধ হয়নি। এই প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জাহেদ হোসেন জানান, ইয়াবা চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকার নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ রেখেছে। কিন্তু ইয়াবা পাচার বন্ধ হচ্ছে না। এ অবস্থায় কয়েক হাজার জেলে পরিবারের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সরকারি সিদ্ধান্ত শিথিল করা দরকার।
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতে মিয়ানমার থেকে নাফ নদী দিয়ে ইয়াবা পাচারের অভিযোগে মাছ শিকার বন্ধ করা হয়। এরপর একই বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গার আসার ঢল শুরু হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। সাথে নাফ নদীতে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। চার বছরেও সেই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। ওই আদেশের কারণে টকনাফের অন্তত ১০ হাজার জেলে পরিবার বিপাকে পড়েছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement