সমন্বিত প্রচেষ্টায় রাজধানীর পরিবেশ বিপর্যয় রোধ সম্ভব : সবুজ আন্দোলন

সমন্বিত প্রচেষ্টায় রাজধানী ঢাকার পরিবেশ বিপর্যয় রোধ সম্ভব বলে দাবি করেছেন পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। গতকাল সবুজ আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে মিরপুরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ‘রাজধানী ঢাকার পরিবেশ বিপর্যয় রোধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সবুজ আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম-আহ্বায়ক মহসিন আলমের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব মহসিন সিকদার পাভেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অর্থ পরিচালক ওমর ফারুক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা উদয় খান, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বাধীনতা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মাহাদী হাসান মল্লিক, কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সোলায়মান হোসেন, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য এম এ মামুন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাজিবুল হাসান রাজিব, নূর ইসলাম প্রমুখ।
বাপ্পি সরদার বলেন, দূষণ ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার একটি বাংলাদেশ। ঢাকায় বসবাসরত মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ বায়ুদূষণজনিত রোগে ভুগছে। পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। সবার সমন্বিত চেষ্টায় পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব। দূষণ রোধে শুধু রাষ্ট্র বা সরকার নয়, প্রত্যেক মানুষের ভূমিকা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
সভায় রাজধানী ঢাকার পরিবেশ বিপর্যয় রোধ সাত দফা প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। ১. খাল পুনরুদ্ধার করতে হবে। ২. খালি জায়গাগুলোতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। ৩. বায়ুদূষণ রোধে সপ্তাহে একদিন রাস্তা পানি দিয়ে ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৪. রাজধানী ঢাকায় বিল্ডিং নির্মাণের জন্য পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৫. পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে পাটজাত পণ্যের ব্যবহারে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। ৬. ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করতে হবে এবং মাসিক বর্জ্য অপসারণে প্রতিটি পরিবার থেকে মাসে ৪০ টাকা হারে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি।