ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ফকির বলেছেন, মানুষ সুস্থ সুন্দর ও নান্দনিক জীবনযাপনে মহানবী সা:-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে। এ জন্য মহানবীর চরিত্র আদর্শ আমাদেরকে শিল্পে চর্চা করতে হবে। গতকাল শনিবার পবিত্র সিরাতুন্নবী সা: উপলক্ষে বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদ আয়োজিত জাতীয় পোস্টার প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী উদ্বোধন এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. মিজানুর রহমান ফকির বলেন, মানুষের সুস্থ সুন্দর ও নান্দনিক জীবনযাপনে মহানবী সা:-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে। এ জন্য মহানবীর চরিত্র আদর্শ আমাদেরকে শিল্পে চর্চা করতে হবে। শিল্পচর্চায় আমরা ক্যালিগ্রাফিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রাচ্যকলার সিলেবাসে যুক্ত করেছি এবং আমাদের বাংলা হরফে ক্যালিগ্রাফিতে নান্দনিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের আগামী প্রজন্মে মহানবীর চরিত্র মাধুর্য তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজন ও শিল্পচর্চা এগিয়ে নিতে হবে। সভাপতি ইব্রাহিম মণ্ডল বলেন, নাস্তিক্যবাদী ও সেকুলারবাদী শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বাস, নীতি-নৈতিকতা, মানবতা ধ্বংস করে দিচ্ছে, একমাত্র ইসলামী সংস্কৃতিই পারে মানুষের পশুপ্রবৃত্তিকে বিনাশ করে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে শিল্পের নান্দনিক আবহে রাসূলের প্রেমকে তুলে ধরতে হবে। কালচারাল একাডেমির সভাপতি টিভি ব্যক্তিত্ব শরীফ বায়জীদ মাহমুদ বলেন, এ সময়ে আমাদের সন্তানরা সেলফি কালচারে ডুবে ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে, তাদেরকে এ ধরনের শৈল্পিক আয়োজনে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেনÑ সসাসের সাবেক পরিচালক মোস্তফা মনোয়ার ও কালচারাল একাডেমির এমডি আবেদুর রহমান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শিল্লী হাসনাত আব্দুল কাদের। বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুর রহীম স্বাগত বক্তব্য দেন। হাফেজ মাওলানা হাসান নাসরুল্লাহর কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রতিযোগিতায় দু’টি গ্রুপের তিনটি বিশেষ পুরস্কারসহ মোট ১২টি পুরস্কার দেয়া হয়। ক গ্রুপে প্রথম হন তাহশীন বিন ইবরাহীম, সপ্তম শ্রেণী; দ্বিতীয় আযীযা তাহসীন, চতুর্থ শ্রেণী; তৃতীয় রাদিয়া রিনি, অষ্টম শ্রেণী; বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেনÑ সানজিদা ইসলাম তাসনুভা, উমারা মারইয়াম ও সামী সাফোয়ান।
খ গ্রুপে প্রথম সুমাইয়া সুলতানা সালওয়া, দ্বিতীয় ফয়েজ মাহমুদ, তৃতীয় হাসানাত আল আমিন, টাঙ্গাইল। বিশেষ পুরস্কার মাহমুদ রাব্বানী, খাদিজা বিনতে মুস্তাফিজ ও দেলোয়ার আল মাহমুদ। এক শত শিল্পীর শতাধিক দৃষ্টিনন্দন পোস্টার প্রদর্শিত হয়। দর্শকরা ঘুরে ঘুরে বর্ণিল পোষ্টার পরিদর্শন করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা