০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


টাকার লোভে ভাগ্নিকে অপহরণ খালা ও তার প্রেমিক রিমান্ডে

-

পাঁচ বছরের শিশু লামিয়া। রাজধানীর ডেমরার নূর মসজিদ সংলগ্ন বাঁশেরপুল এলাকায় নানাবাড়িতে মায়ের সাথে থাকে শিশুটি। প্রতিদিন মা লাকি আক্তারের আঁচল ধরে স্থানীয় একটি মাদরাসায় প্লে-গ্রুপে পড়তে যায় সে। গত ৭ অক্টোবর একইভাবে লামিয়াকে মাদরাসায় রেখে বাসায় ফেরেন মা। কিছুক্ষণ পর খবর পান এক নারী নিজেকে লামিয়ার খালা পরিচয় দিয়ে কিছু কিনে দেয়ার কথা বলে মাদরাসায় ঢুকে তাকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর আর তাকে ফেরত দেয়নি। পরে লামিয়ার মাকে মোবাইল ফোনে কল করে ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
একপর্যায়ে লাকি আক্তার ৩০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান এবং ডেমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত সোমবার বরগুনা থেকে লামিয়াকে উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে অপহরণকারী শাহিনুর আক্তার ও তার প্রেমিক শাহীন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, অপহরণকারী নারী শাহিনুর লামিয়ার আপন খালা। এই দুজনকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার আদালতে পাঠালে তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতের সব কার্যক্রম শেষে গতকাল লামিয়াকে তার মা লাকি আক্তারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডেমরা জোনের এডিসি রফিক জানান, শাহিনুরের স্বামী সন্তান থাকা সত্ত্বেও সে শাহিনের সাথে প্রেম করত। শাহিনের গ্রামের বাড়ি বরগুনা। লামিয়াকে সেখানে নিয়ে রাখে তারা। শাহিনুর তার বাবার কাছ থেকে সম্পত্তি ও টাকা চায়। কিন্তু বাবা দিতে রাজি হয়নি। তাই ভাগ্নিকে অপহরণ করলে হয়তো টাকা দেবে, এই ভেবে অপহরণ করে। তা ছাড়া লামিয়ার বাবা প্রবাসী। তার অনেক টাকা আছে ভেবেও লামিয়াকে অপহরণ করা হয়।
গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মেয়েকে বুঝে পাওয়ার পর শিশুটির মা লাকি আক্তার বলেন, লামিয়ার বাবা বাহরাইন প্রবাসী। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার হরিপুর গ্রামে। গ্রেফতার দুজনের মধ্যে শাহিনুর তার নিজের বোন, যে টাকার জন্য লামিয়াকে অপহরণ করেছিল।


আরো সংবাদ



premium cement