নতুন নতুন মাত্রার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বিত প্রয়াস আরো প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ফ্রান্স বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল ওবোনোর ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে স্পিকার এ কথা জানান। এ ক্ষেত্রে তিনি প্যারিস ডিক্লেরাশেন অনুযায়ী বাংলাদেশকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান।
স্পিকারের সাথে গতকাল দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন ফ্রান্স ন্যাশনাল পার্লামেন্টের সদস্য ও ফ্রান্স বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল ওবোনো।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার আরো বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট বিরূপ প্রভাবের নির্মম শিকার। সরকার এ সমস্যা মোকাবেলায় এরই মধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস সম্প্রচার, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে যথাসময়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর, দ্রুত ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ, উপকূলীয় বাঁধ তৈরি, লবণাক্ত ও খরা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন, বাঁধ ও বাঁধ সংলগ্ন চর এলাকায় বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি, জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন ইত্যাদি পদক্ষেপসমূহ বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নেই সমাধা করছে। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন এবং এ বিষয়ে বিশেষ ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসঙ্ঘ চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত করে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এ সংক্রান্ত দু’টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া সরকার ডেল্টা প্লান ২১০০ গ্রহণ করেছে। অপ্রতুল ভূমি, ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যা, জেন্ডার ইস্যু, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হয়। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বন্যা ও সাইক্লোন সফলতার সাথে মোকাবেলা করছে। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে দুই দেশের সংসদ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে গুরুপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড্যানিয়েল ওবোনো বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত উদ্যোগ গ্রহণ না করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শঙ্কা বাংলাদেশের। তাই আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে সোচ্চার হতে হবে। তিনি জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের অভিযোজন অভিজ্ঞতা থেকে ঝুঁকির মুখে থাকা রাষ্ট্রসমূহ শিক্ষা নিতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা