০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিশ্বে কমতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের প্রভাব!

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন - ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মঞ্চে গত এক বছরে বেশ কিছু বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং অন্য পাশ্চাত্যের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশগুলো।

এখনো পর্যন্ত এই বিপত্তি ভয়াবহ বিপর্যয়ের আকার না নিলেও, এগুলো দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পাশ্চাত্যের মূল্যবোধের প্রভাব বলয় থেকে ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।

একাধিক ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের স্বার্থের ঠিক বিপরীতে হাওয়া বইছে।

দেখে নেয়া যাক কেন এই পরিবর্তন আর এর ভবিষ্যতই বা কী?

ইউক্রেন
কৃষ্ণ সাগরে সাম্প্রতিক কিছু সাফল্য পাওয়া সত্ত্বেও, এই যুদ্ধ ইউক্রেনের পক্ষে যায়নি। অর্থাৎ যুদ্ধ যদি আরো চলতে থাকে তাহলে তা ন্যাটো এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।

ইতোমধ্যে তারা (নেটো এবং ইউরোপিয় ইউনিয়ন) ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালাতে এবং ওই দেশের অর্থনীতিকে লাখ লাখ ডলার ঢেলেছে।

অথচ গত বছর এই সময় পর্যন্তও ন্যাটো ইউক্রেনের বিষয়ে বেশ আশাবাদী ছিল।

তারা ভেবেছিল, আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র এবং পাশ্চাত্যের প্রশিক্ষণ পেলে ইউক্রেনের সৈন্যরা রাশিয়াকে হারিয়ে তাদের দখলে থাকা অংশ ফিরিয়ে আনতে পারবে, ঠিক যেমনটা আগে পেরেছিল।

তবে বলা বাহুল্য, এবারে ইউক্রেনের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।

সমস্ত সমস্যার অন্যতম হলো সময় নির্ধারণ।

ন্যাটোর অন্তর্গত দেশগুলো ‘ব্রিটেনের চ্যালেঞ্জার-২’ এবং ‘জার্মানির লিওপার্ড-২’-এর মতো অত্যাধুনিক ‘মেন ব্যাটেল ট্যাঙ্ক’ ইউক্রেনে পাঠানোর সাহস আদৌ দেখাবে কি-না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই অনেকটা সময় চলে গিয়েছিল।

দীর্ঘসূত্রিতার পেছনে ছিল একটাই আশঙ্কা- যদি তাদের এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রতিশোধ নিতে প্ররোচনা যোগায়।

যদিও শেষ পর্যন্ত পাশ্চাত্যের দেশগুলো ট্যাঙ্ক সরবরাহ করেছিল এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন কিছু করেননি।

তবে বেশ কিছুটা সময় চলে যাওয়ার পরে যখন জুন মাসে যুদ্ধের জন্য তারা প্রস্তুত হয়েছে, তত দিনে, রাশিয়ান কমান্ডাররা মানচিত্র পর্যবেক্ষণ করে সঠিকভাবে অনুমান করে ফেলেছেন ইউক্রেন ঠিক কোন দিক থেকে জোরাল চেষ্টা চালাবে।

রাশিয়া অনুমান করতে পেরেছিল যে ইউক্রেন জাপোরিঝিয়া ওবলাস্ট হয়ে আজোভ সাগরের দিকে দক্ষিণে এগোতে চায়। তারা এটাও অনুমান করতে পারে, ইউক্রেন চাইছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যুহের মধ্যে দু’টি ভাগ করে ফেলতে এবং মূল ভূখণ্ড থেকে ক্রাইমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে।

২০২২ সালে কিয়েভ দখল করতে রুশ সেনাবাহিনী বিফল হলেও তাদের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা এখনো নজিরবিহীন।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ২০২৩-এর প্রথমার্ধে ব্রিটেন ও অন্য জায়গায় বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে আর যুদ্ধের জন্য ট্যাঙ্কগুলোকে পূর্ব থেকে সম্মুখ সমরে পাঠাতে যে সময়টা নিয়েছে, তত দিনে রাশিয়া আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং দীর্ঘ বিস্তৃত প্রতিরক্ষামূলক ব্যুহ তৈরি করে ফেলেছে।

সকল সরঞ্জাম নিয়ে ইউক্রেন যখন যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত, তখন রাশিয়ান কমান্ডাররা মানচিত্রটি দেখে সঠিকভাবে অনুমান করে ফেলেন যে ঠিক কোথায় ইউক্রেনের প্রচেষ্টা সবচেয়ে জোরাল হতে চলেছে।

ইউক্রেনের পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মাইন, অ্যান্টি-পার্সোনাল মাইন, বাঙ্কার, খাদ, ট্যাঙ্ক ফাঁদ, ড্রোন এবং আর্টিলারি মজুদ করে রাশিয়া তত দিনে যুদ্ধের জন্য তৈরি। ফলে, ইউক্রেনের বহুল আলোচিত পাল্টা আক্রমণ ব্যর্থ হয়।

ফলে সবমিলিয়ে ইউক্রেন এবং পাশ্চাত্যের সমীকরণ ভুল দিকে যাচ্ছে। ইউক্রেনের গোলাবারুদ ও সৈন্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনকে সাহায্য করতে হোয়াইট হাউজের ছয় হাজার কোটি ডলারের সামরিক সহায়তার প্রচেষ্টাকে আটকে রেখেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, হাঙ্গেরি আটকে রেখেছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের পাঁচ হাজার কোটি ইউরোর তহবিল।

এর মধ্যে একটি বা দু’টি সহায়তা প্যাকেজই হয়তো শেষ পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত পেয়ে যেতে পারে। কিন্তু তাতে হয়তো ইউক্রেনের জন্য অনেকটা বিলম্ব হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে রণকৌশল বদলে প্রতিরক্ষামূলক পন্থা নিতে হয়েছে।

এদিকে, মস্কোর অর্থনীতি কিন্তু যুদ্ধের বিষয়টাকেই সব চাইতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। রাশিয়া তাদের বাজেটের এক তৃতীয়াংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয় করেছে ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইনে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করতে আর এবং বিপুল পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর।

স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতি ইউক্রেনের জন্য খুবই হতাশাজনক। তারা ভেবেছিল, এত দিনে হয়তো যুদ্ধের ফল তাদের পক্ষে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কাছে কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?

এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভ্লাদিমির পুতিন ব্যক্তিগতভাবে প্রায় দু’বছর আগে এই আক্রমণের আদেশ দিয়েছিলেন, বিজয় ঘোষণা করার জন্য যে অঞ্চলটা রাশিয়ার দখল করেছে (ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ) শুধুমাত্র সেটা ধরে রাখতে হবে।

ইতোমধ্যে ন্যাটো তার মিত্রপক্ষ ইউক্রেনকে সমর্থন করতে অস্ত্রাগার খালি করে দেয়ার পাশাপাশি যুদ্ধের জন্য আর যা যা প্রয়োজন সবই করেছে।

তবে রাশিয়ার আগ্রাসনকে প্রতিহত করতে ন্যাটোর এই প্রচেষ্টা হয়তো ‘বিব্রতকর ব্যর্থতায়’ পরিণত হতে পারে।

এদিকে বাল্টিক রাষ্ট্র এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়ার মতো ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো নিশ্চিত যে ভ্লাদিমির পুতিন যদি ইউক্রেনে সফল হতে পারেন, তাহলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের (ন্যাটোর অন্তর্গত ওই তিনটি দেশ) দিকেও ধেয়ে আসবে।

ভ্লাদিমির পুতিন
থিওরি মতে, রুশ প্রেসিডেন্ট একজন কিন্তু ‘ওয়ান্টেড’-এর তালিকায় রয়েছেন।

দ্য হেগ-এর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং তার শিশু অধিকার কমিশনার ইউক্রেনিয় শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাকে অভিযুক্ত করেছে।

পাশ্চাত্যের দেশগুলো আশা করেছিল, এর পর হয়তো আন্তর্জাতিকস্তরে ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘একঘরে’ করে দেয়া হবে। একই সাথে, গ্রেফতার এবং দ্য হেগ-এ নির্বাসনের ভয়ে তিনি নিজের দেশেই সীমাবদ্ধ থাকবেন।

তবে তা হয়নি।

এই অভিযোগের পর থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। কিরগিজস্তান, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে তিনি সমাদরও পেয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিক্সের শীর্ষ সম্মেলনেও ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছেন তিনি।

মনে করা হয়েছিল, ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) তরফে জারি করা একের পর এক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিকে প্রায় ভেঙে ফেলবে, যা পুতিনকে তার আগ্রাসন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবে।

তবে রাশিয়া যে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো মোকাবিলা করতে সক্ষম তা প্রমাণ করে দিয়েছে। তারা চীন এবং কাজাখস্তানের মতো অন্য দেশের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যও সংগ্রহ করেছে। এটা ঠিক যে পাশ্চাত্যের দেশগুলো নিজেদের সরিয়ে নিলেও তেল এবং গ্যাসের গ্রাহক হিসেবে অন্যদের পেয়েছে মস্কো।

বাস্তবে দেখা গেছে, ইউক্রেনে পুতিনের আগ্রাসন এবং দখলের সময় দেখানো নৃশংসতা পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কাছে ঘৃণ্য হলেও বাকি বিশ্বের কাছে তা মোটেই তেমনটা নয়।

অনেক দেশ এটাকে ইউরোপের সমস্যা হিসেবে দেখছে। কেউ আবার বলেছে রাশিয়াকে উস্কানোর জন্য ন্যাটো দায়ী। এই দেশগুলো অবশ্য রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অত্যাচার এবং হেনস্থা পর ইউক্রেনের যে অবস্থা হয়েছে সেদিকে বিশেষ নজর দেয়নি।

গাজা
সম্প্রতি রিয়াদে এক শীর্ষ সম্মেলনে আরবের মন্ত্রীরা বলেছিলেন, পাশ্চাত্যের দেশগুলো ‘দ্বিচারী’।

তারা বলেছিলেন, ‘তোমাদের সরকারগুলো সব ভণ্ড। কি আশা করেন আমরা ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার জন্য রাশিয়ার নিন্দা করব যেখানে আপনারা গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেখানেও তো হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকদের মারা হচ্ছে!’

ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ স্পষ্টতই সমস্ত গাজাবাসীর জন্য এবং ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের প্রাণঘাতী আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ইসরাইলিদের জন্য বিরাট বিপর্যয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলোর জন্যও এই যুদ্ধ ক্ষতিকারক। এই যুদ্ধ বিশ্বের মনোযোগ ন্যাটো মিত্র গোষ্ঠী ইউক্রেনের ওপর থেকে সরিয়ে নিয়েছে।

রাশিয়ার আগ্রাসান থামাতে ইউক্রেন এখন হিমশিম খাচ্ছে। কিয়েভ থেকে মার্কিনদের সামরিক সহায়তা সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত আবার ইসরাইলের পক্ষে গেছে।

কিন্তু সর্বোপরি বিশ্বের অনেক মুসলমান এবং অন্যদের দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনকে গাজার ধ্বংসাত্মক পরিণতির অংশীদার বলেও অভিযোগ তুলেছে। কারণ তারা ইসরাইলকে জাতিসঙ্ঘে সুরক্ষা দিয়েছে।

রাশিয়ার যাদের বিমান বাহিনী সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে ব্যাপক বোমা বর্ষণ করেছে, তারা কিন্তু গত ৭ অক্টোবর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির প্রমাণ পেয়েছে।

যুদ্ধ ইতোমধ্যে দক্ষিণ লোহিত সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হাউছি যোদ্ধারা জাহাজগুলোতে বিস্ফোরক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে।

এর ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। কারণ বিশ্বের প্রধান শিপিং সংস্থাগুলো তাদের যাত্রাপথ আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ঘুরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

ইরান
ইরানকে নিয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে তারা গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। এই অভিযোগ যদিও তারা অস্বীকার করেছে।

এর ফলে, পাশ্চাত্যের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ইরানকে ‘একঘরে’ করা সম্ভবই হয়নি। বরং সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন এবং গাজা জুড়ে ‘প্রক্সি মিলিটারি’ মোতায়েনের মাধ্যমে নিজেদের সামরিক ঘাঁটি প্রসারিত করেছে ইরাক। যাকে তারা অর্থ যোগায়, প্রশিক্ষণ দেয় এবং অস্ত্র সরবরাহও করে।

ইরান মস্কোর সাথে একটি ঘনিষ্ঠ জোট তৈরি করেছে, যা স্পষ্টতই ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য বিশাল ভাণ্ডারের যোগান দেবে।

গাজায় যুদ্ধ থেকে ইরান কিন্তু উপকৃত হয়েছে। ‘ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের’ কথা বলে তারা মধ্যপ্রাচ্যে নিজের জায়গা তৈরি করতে পেরেছে।

আফ্রিকার সাহেল
পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের একের পর এক দেশ সামরিক অভ্যুত্থানের কাছে নতি স্বীকার করছে, যার ফলে ইউরোপিয় বাহিনীকে ওই অঞ্চল থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছে। ওই অঞ্চলগুলোতে ‘জিহাদি বিদ্রোহ’ মোকাবিলা করতে সাহায্য করছিল ইউরোপিয় বাহিনী।

মালি, বুরকিনা ফাসো এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের সাবেক ফরাসি উপনিবেশগুলো ইতোমধ্যে ইউরোপিয়দের বিরুদ্ধে চলে গেছে।

এর কারণ গত জুলাইয়ে আরেকটি সামরিক অভ্যুত্থানের সময় নাইজারে পাশ্চাত্যপন্থী রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ইতোমধ্যে ফরাসি সৈন্যরা দেশ ছেড়ে চলে গেছে, যদিও দু’টি ঘাঁটিতে এখনো ৬০০ মার্কিন সেনা রয়েছে।

ফরাসি এবং আন্তর্জাতিক বাহিনীর পরিবর্তে ওয়াগনার গোষ্ঠীর ভাড়াটে রাশিয়ান সৈন্যরা এসেছে। গত আগস্টে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের রহস্যজনক মৃত্যু সত্ত্বেও তার লাভজনক ব্যবসায়িক চুক্তিগুলো ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এই গোষ্ঠী।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা যাকে এক সময় পাশ্চাত্যের মিত্র হিসেবে মনে করা হতো, তারা রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধজাহাজের সাথে যৌথ নৌ মহড়া চালিয়ে আসছে।

উত্তর কোরিয়া
নিষিদ্ধ পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়ার উচিৎ কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা।

তবে তারা রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। ইতোমধ্যে কিম জং উন রাশিয়ার একটি স্পেসপোর্ট পরিদর্শন করেছেন, এরপরই উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ বাহিনীর কাছে ১০ লাখ আর্টিলারি শেল পাঠিয়েছে।

অন্যদিকে, তারা (উত্তর কোরিয়া) বেশ কয়েকটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মহাদেশীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অংশে আঘাত হানতে সক্ষম বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চীন
সান ফ্রান্সিসকোতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও শিয়ের মধ্যে একটি সফল শীর্ষ বৈঠকের পর বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ‘সমস্যা’ কিছুটা কমেছে।

কিন্তু চীন দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশের ওপর তাদের দাবি থেকে সরে আসার কোনো লক্ষণ দেখায়নি। বরং তারা একটা নতুন ‘স্ট্যান্ডার্ড’ মানচিত্র জারি করেছে যা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বেশ কয়েকটি দেশের উপকূলরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত।

অন্যদিকে, তাইওয়ানের ওপর তাদের দাবিও চীন ছাড়েনি। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে ‘ফিরিয়ে নেয়ার’ অঙ্গীকারও করেছে তারা।
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন, তারপরও লোডশেডিং বড় চমক ছাড়াই প্রস্তুত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক ১ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম, কার্যকর বুধবার

সকল