২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকা মেডিক্যালের ভেতর অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে নারী

-

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভেতরে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন মরিয়ম বেগম(৬৫) নামের এক রোগীর স্বজন। অচেতন করে তার কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে গেছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।

শনিবার বিকেলের দিকে ঢামেক হাসপাতালের ২১২ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডের ভিতরে বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে।

অচেতন মরিয়মের মেয়ে সাথী সন্তান সম্ভবা হওয়ার কারণে তিন দিন আগে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি হন। মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলা থেকে তাকে দেখভালের জন্য তার মা মরিয়ম বেগম শুক্রবার হাসপাতলে আসেন।

সাথীর ভগ্নিপতি হারুন-অর-রশিদ বলেন, বিকেলের দিকে ওই ওয়ার্ডে বারান্দায় পাটি বিছিয়ে বসে ছিলেন তার শ্বাশুড়ি মরিয়ম বেগম। পাশে অন্যান্য রোগীর স্বজনরা ছিল। দুই নারী এসে আমার শাশুড়ির সাথে অনেক মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে সম্পর্ক তৈরি করে। এক পর্যায়ে শ্বাশুড়িকে বলে পানখান। পরে আমার শাশুড়িকে চুলগুলো আছড়িয়ে দেয়। অল্প কিছুক্ষণ পরেই আমার শ্বাশুড়ি অচেতন হয়ে পড়ে। তখন ওই দুই নারী সবার অগোচরে আমার শ্বাশুড়ির কান থেকে স্বর্ণের দুল ও গলার চেন নিয়ে তারা চম্পট দেয়।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার সময় আমার শ্বাশুড়ি পাশে আমি ছিলাম না। আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে এসব ঘটনা শুনেছি। ঘটনার অচেতন মরিয়ম বেগমকে জরুরি বিভাগে ডাক্তারকে দেখিয়ে তাদের পরামর্শে পাকস্থলী ওয়াশ করা হয়েছে। এরপর সেই ওই ওয়ার্ডের বারান্দায় এখনো অচেতন অবস্থায় আছেন তিনি।

একই ওয়ার্ডের আরেক রোগীর বাবা মনির হোসেন জানান, দেখলাম দু’জন নারী এসে ওই নারীর সাথে কথা বলছে এবং তার মাথার চুল আঁচড়ে দিয়েছে তারপরে বলছে পানখান। এর কিছুক্ষণ পরে দেখি ওই মরিয়ম বেগম অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে ওই দুই নারীকে আর দেখতে পায়নি।

ওয়ার্ডে কর্তব্যরত আনসার সদস্য আব্দুল কাইয়ুম জানান, এক দেড় মাস আগেও একই জায়গায় দুই নারীকে অচেতন করে কানের দুল টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। আজকে আবার একই ঘটনা ঘটল।

ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্যদের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মো. মিজান জানান বিষয়টি আমরা দেখছি।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ২১২ ওয়ার্ড হচ্ছে হাসপাতালে ভেতরে। ওখানে আনসার সদস্যরা রাতদিন ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করে। বিষয়টি আমাকে এখনো কেউ জানায়নি। তবে আমি খোঁজ খবর নিয়েছি। তাদের স্বজনকে বলেছি শাহবাগ থানায় একটা জিডি করতে। জিডির পরিপ্রেক্ষিতে সিসি ক্যামেরা দেখে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের শনাক্ত করা যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement