২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বন্যা মোকাবেলায় সরকারের সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

বন্যা মোকাবেলায় সরকারের সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী -

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, এবার বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে বন্যা পরিস্থিতি নজরদারি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোথাও বন্যা হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে কমিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে সকলকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন একেএম এনামুল হক শামীম। এর আগে মন্ত্রনালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ও টাস্কফোর্স প্রধানের সাথে বৈঠক করেন তিনি।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতিতে নিয়ে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছি। আজও ২২ জেলার জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি। আমাদের মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বক্ষনিক মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে কাজ হচ্ছে। মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিতভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করছে।

একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, আপনারা জানেন সারাদেশে বন্যা ও নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ৩০টি জেলার ৫৪টি ভাঙন এলাকা আমি পরিদর্শন করেছি। ঝুঁকিপুর্ণ ভাঙন এলাকাগুলো চিহ্নিত করে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অনেক স্থানে স্থায়ী সমাধানও করা হয়েছে। বাকি প্রত্যেকটি ভাঙন এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বন্যা সৃষ্টির জন্য প্রাকৃতির পাশাপাশি আশপাশের কয়েকটি দেশও অনেকাংশে দায়ী। ঐসব দেশের ঢলের পানিতে আমাদের বেশ কিছু এলাকার বন্যা হয়। ইতোমধ্যে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট ও যমুনা- এই চার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জ, জামালপুর, সিরাজগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিচ্ছে। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং চলছে এবং জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারাও অত্যন্ত সক্রিয়। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে ঐসব এলাকার পানি নেমে আসবে।

উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম আরো বলেন, বন্যায় ১৫টি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলাগুলো হলো: কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর। এসব জেলায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।  যেসব এলাকায় পানি বেশি হয়, সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায়ও সরকারের সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। যার কারণে কোথাও বন্যা হলেও ক্ষতির পরিমাণ কম হবে ইনশাল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় দুর্যোগে, বিপদে-আপদে মানবতার পাশে দাঁড়ায়। এবারও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাবেক এ সাংগঠনিক সম্পাদক।


আরো সংবাদ



premium cement