সকল মন্ত্রণালয়সহ সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুশ্রমমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব। তবে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় শিশু অধিকারের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ২০১৯’ উপলক্ষ্যে সিরডাপ মিলনায়তনে পরামর্শ সভায় আলোচকরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী অ্যারোমা দত্ত, এমপি, নির্বাহী পরিচালক, প্রিপ ট্রাস্ট এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মো: রেজাউল হক, অতিরিক্ত সচিব, শ্রম অনুবিভাগ; মো: মোস্তাফিজুর রহমান, উপ-মহা-পরিদর্শক, স্বাস্থ্য, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর; জনাব রোকসানা বেগম, উপ-পরিচালক, শ্রম অধিদপ্তর, রাফেজা শাহীন, কর্মসূচী সমন্বয়কারী, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। উক্ত মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন শীপা হাফিজা, নির্বাহী পরিচালক, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
অ্যারোমা দত্ত বলেন, শ্রমের সাথে সম্পৃক্ত শিশু শ্রমিকের হার ১৩ লাখে নেমে এসেছে এতে প্রতীয়মান হয় যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি ও শিশুশ্রম নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষার প্রতি দৃষ্টি দিয়ার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। তাছাড়া, শিশুদের সুরক্ষায়ব্যবসায়ী প্রতিনিধি বিশেষ করে বিজিএমইএ কে দক্ষ শ্রমিক তৈরির জন্য উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দেন।
রাফেজা শাহীন বলেন, অভিভাবকদেরকে শিশুর পরিচর্যা সম্পর্কে ভালভাবে অবগত হয়ে মা-বাবা হতে পরামর্শ দেন। কেননা, শিশুশ্রমের জন্য দরিদ্রতা একমাত্র সমস্যা নয় বরং বাল্যবিবাহ, অসচেতনতা এবং কর্মক্ষেত্র এই তিনটি বিষয়কে মাথায় রেখে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের পরামর্শ দেন।
ড. মো: রেজাউল হক বলেন, সরকারের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এটি একটি সমন্বিত সভা বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি তার কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকটি দিক সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এছাড়া আইনের প্রতি মানুষের আস্থা না থাকা সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি বলেন, অপরাধ করলে আইনে যে পরিমান জরিমানা এবং বিধান রয়েছে তা খুবই সামান্য হওয়ায় মালিকগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।
রোকসানা বেগম বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের অধীন ৩২টি শ্রমকল্যাণ সংগঠন রয়েছে। শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জন্য যে ট্রেনিং মড্যুল রয়েছে সেখানে শিশুশ্রম বিষয়টি যুক্ত হলে সকল স্তরে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতনতা সমান স্তরে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হতো।
শীপা হাফিজা বলেন, সরকার যে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩৮টি কাজ নির্ধারণ করেছে, সেটা হালনাগাদ করা দরকার। তিনি বলেন, সকল মন্ত্রণালয়সহ সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুশ্রমমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় শিশু অধিকারের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার উপর তিনি জোর দেন।
অনুষ্ঠানে অসীম মণ্ডলের লেখা ও প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া “ছোট ছোট দুটি পা ছোট দুই হাত, দুটাকায় খেটে খায় ভোর থেকে রাত’ গানের সাথে শ্রমজীবী শিশুরা হৃদয়স্পর্শী নৃত্য পরিবেশন করেন এবং বাউল অন্তর সরকার শিশুশ্রম বিরোধী সরচিত বাউল গান পরিশেন করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা