০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নবান্নের ঋতু হেমন্তের আগমন

নবান্নের ঋতু হেমন্তের আগমন - ছবি : সংগৃহীত

মঙ্গলবার নবান্ন ঋতু হেমন্তের প্রথম দিন। কুয়াশাভেজা শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে প্রতিবছর হেমন্ত আমাদের দরজায় কড়া নাড়ে। প্রকৃতিতে অনুভূত হয় এক নতুন আমেজ। ষড়ঋতুর এই দেশে মূলত কার্তিকের শুরু থেকেই শীতের স্পর্শ টের পাওয়া যায়। হেমন্তে গ্রামবাংলা সেজে ওঠে নতুন রূপে। কুয়াশাভেজা সকালে চাদর মুড়ি দিয়ে পথে বের হয় মানুষ। সুমিষ্ট খেজুর রসের দেখা মিলবে আর ক’দিন পরই। এরপরই শুরু হবে পিঠাপুলির পার্বণ। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী কার্তিক ও অগ্রহায়ন এই দুই মাস হেমন্তকাল। ‘কোন পাহাড়ের ওপার থেকে আনলো ডেকে হেমন্তকে’ কবি সুফিয়া কামালের এই পংক্তির মতো হেমন্তকে স্বাগত জানিয়ে অনেক কবিতা আছে বাংলা সাহিত্যে।

আসলেই হেমন্ত অন্য এক রোমাঞ্চ এনে দেয় আমাদের গ্রামীণ জীবনে তো অবশ্যই এমনকি শহুরে জীবনেও। শীতকালীন সবজিতে ভরে ওঠে শহরের বাজার। আর বাংলার কৃষকের সবচেয়ে বড় উৎসব যে নবান্ন, সেটাতো এই হেমন্তেই। মেঠোগান গাইতে গাইতে চলবে ধানকাটা। ধান মাড়াই আর আর রাত জেগে তা উনুনে সেদ্ধর ব্যস্ততায় ভরে উঠবে কৃষকের জীবন। সেই ব্যস্ততা কষ্টের নয়, আনন্দের। এই নবান্নই কৃষকের জীবনে অভাবের দুঃসহতাকে ছাপিয়ে নিয়ে আসে আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রশান্তি। এরই মধ্যে প্রকৃতিতে শুরু হয়ে গেছে উত্তুরে বাতাসের হালকা কাঁপুনি। যে কাঁপুনি একসময় তীব্র হয়ে জানান দিবে শীতের আগমনী।


আরো সংবাদ



premium cement