২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত

- ছবি: সংগৃহীত

ইরান এবং সৌদি আরব সাত বছর পর আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হবে। সেই সাথে দু'মাসের মধ্যে দু'দেশ পরস্পরের রাজধানীতে তাদের দূতাবাসের দরজা খুলবে।

চীনের মধ্যস্থতায় বেইজিং এ দু'দেশের মধ্যে এক আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

দু’টি দেশই এ ক্ষেত্রে বেইজিং এর ভূমিকার প্রশংসা করেছে।

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইরান ও চীন- দুই দেশের সাথেই তাদের সম্পর্কে টানাপোড়ন আছে। আবার মধ্যপ্রাচ্যের ইয়েমেনে যে গৃহযুদ্ধ চলছে, সেখানে ইরান এবং সৌদি আরব দুই পরস্পরবিরোধী পক্ষকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয়।

২০১৬ সাল হতে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই বড় দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ওই বছর সৌদি আরব এক শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তেহরানের সৌদি দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। তারপর দুই দেশের সম্পর্কে নাটকীয় অবনতি ঘটে।

বিবিসির সংবাদদাতা ফ্র্যাংক গার্ডনার জানান, বেইজিংয়ে মাত্র চার দিনের এক সমঝোতা আলোচনায় গত সাত বছরের হিমশীতল কূটনৈতিক সম্পর্কের বরফ গলানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে চীন সরকার।

তবে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মানে এই নয় যে, তাদের নীতিগত অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটেছে। পরস্পরের সাথে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখাটাই এখানে মুখ্য উদ্দেশ্য বলে মনে হচ্ছে।

ইয়েমেনের যুদ্ধ যেমন দুই দেশের সম্পর্কের মাঝে বিরাট ফাটল তৈরি করেছে, তেমনি সৌদি আরবে শিয়া মুসলিমদের সাথে যে আচরণ করা হয়, সেটা নিয়েও আছে বিরোধ।

সৌদি আরবের অবকাঠামোর ওপর সম্প্রতি অনেক মারাত্মক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এসব হামলার পেছনে ইরানের সামরিক বাহিনীর সাহায্য আছে বলে মনে করা হয়।

এ সপ্তাহেই লন্ডনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সল বিন ফারহান বলেন, তাদের মধ্যে যে মতপার্থক্যই থাকুক, তেহরানের সাথে সংলাপের পথ সব সময় খোলা ছিল।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement