ইসরাইলি সেনারা বুধবার উত্তর-পূর্ব জেরুসালেমে এক ফিলিস্তিনি নারীকে গুলি করে হত্যা করেছে। ওই নারী গাড়ি দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জেরুসালেমের উত্তর-পূর্ব হিজম অঞ্চলে ওই নারী ইসরাইলি সেনাদের উপর গাড়ি চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এরপর একটি চাকু নিয়ে তিনি গাড়ি থেকে বের হন।
ওই বিবৃতি অনুসারে, ‘ওই নারীকে থামানো হয়েছে।’ কিন্তু ইসরাইলি সামরিক রেডিও পরে নিশ্চিত করে বলেছে, ‘তিনি ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।’
ইসরাইলি সেনা কর্তৃপক্ষ আরো বলেছে, তাদের এক সেনা সামান্য আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, নিহত ২৯ বছর বয়সী নারী মায় আফানা একজন পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং তিনি জেরুসালেমের কাছাকাছি আবু দিস গ্রামের বাসিন্দা।
চার বছর বয়সী এক সন্তানের মা এই ফিলিস্তিনি নারী জেরিকো শহরের আল-ইশতিকলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে পাঠ দান করেন।
ইসরাইলি সৈন্যরা গুলি করে তাকে গাড়িতে ফেলে রাখে এবং কোনো অ্যাম্বুলেন্স তার কাছে পৌঁছাতে দেয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়।
গত কয়েক মাসে ইসরাইলি সেনারা কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে গাড়িচাপা ও ছুরি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে।
অবশ্য ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন অভিযোগ করেছে, ‘ইসরাইলি সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে। ইসরাইলি সেনাদের নিজেদের জীবনের কোনো হুমকি না থাকলেও তারা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে।’
বুধবারের এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এমন সময়ে সামনে এল, যখন ইসরাইলের চরমপন্থী ইহুদিরা পতাকা মিছিলের মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক ও আলজাজিরা