চলতি সপ্তাহে 'গঠনমূলক মতবিনিময়ের' পর আগামী সপ্তাহে ইরানের সাথে চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন ফের আলোচনায় বসবে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই কথা জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এর আগে মঙ্গলবার ইইউর তত্ত্বাবধানে ইরানের সাথে জয়েন্ট কমপ্রেহেনসিভ প্লান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) শীর্ষক চুক্তি পুনরায় চালু করতে অংশীদার দেশগুলোর আলোচনা অস্ট্রেয়ার রাজধানী ভিয়েনায় শুরু হয়। ইইউ-এর পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
ইইউর বিবৃতিতে বলা হয়, যৌথ কমিশনকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পরমাণু কার্যক্রম সীমিতকরণ প্রসঙ্গে অবহিত করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ‘গত বছরের ২১ ডিসেম্বরে মন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতির আলোকে অংশীদারদের সমন্বয়ে পারমাণবিক বিষয়ে ভবিষ্যতে শান্তিপূর্ণ সমাধানে নিরবচ্ছিন্ন যৌথ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোর দেয়া হবে। সমন্বয়কারী অব্যাহতভাবে তার দেশের সাথে সব জেসিপিওএ অংশগ্রহণকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার পৃথক যোগাযোগ চালিয়ে যাবে।’
ইইউর বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যৌথ কমিশন বিশেষজ্ঞ দলকে তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে ভিয়েনায় আবার আলোচনায় বসায় সম্মতি দিয়েছে জেসিপিওএ যৌথ কমিশন।
২০১৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় ভিয়েনায় ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে। জয়েন্ট কম্প্রেহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন বা সংক্ষেপে জেসিপিওএ নামে পরিচিত এই চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। এর বিনিময়ে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেন। যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে সীমিত পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করে।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তিনি জানিয়েছেন, ইরানকে আগে তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসতে হবে। অপরদিকে ইরান আগে দেশটির ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি করছে।
সূত্র : তাসনিম নিউজ এজেন্সি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা