২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরিয়ায় ৯ হাজার ইরানি যোদ্ধা, তুমুল সঙ্ঘাতের আশঙ্কা

- সংগৃহীত

সিরিয়ায় নিজেদের শক্তি বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছে ইরান। এজন্য দেশটিতে ইরান ইতোমধ্যে ৯ হাজারের বেশি যোদ্ধা পাঠিয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে। এ ব্যাপারে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইরান সমর্থিত এসব যোদ্ধা সিরিয়ার এক জায়গায় অবস্থান করছে না। তারা দেশটির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। তবে অধিকাংশ ইরান সমর্থিত যোদ্ধাই অবস্থান করছে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবে।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই হামলা-পাল্টা হামলা চলছে সিরিয়ায়। তবে এবার তুরস্ক ও রাশিয়া নয়, দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। ইরাকে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের তাজি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাজি ঘাঁটিতে হামলার পর ইরাক ছেড়ে অসংখ্য মার্কিন সেনা সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।

অন্য দিকে এর প্রতিক্রিয়ায় কোনো মন্তব্য না করলেও ইতোমধ্যে সিরিয়ায় ৯ হাজারের বেশি যোদ্ধা পাঠিয়েছে ইরান। এ দিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ায় এত ব্যাপক সংখ্যক ইরান সমর্থিত যোদ্ধা অবস্থান করায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে মার্কিন সেনাদের মনে। অনেক বিশ্লেষক আবার তুমুল সঙ্ঘাতের শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান শুরু করে দেশটির সরকারি বাহিনী। এ ক্ষেত্রে তাদের সমর্থন দেয় রাশিয়া। এ ছাড়া সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর প্রতি ইরানেরও সমর্থন রয়েছে। অন্য দিকে শরণার্থী সমস্যার অজুহাতে এই অভিযানের বিরোধিতা করে তুরস্ক। আর তাতে তুর্কিদের প্রতি সমর্থন জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যে। এসব ইস্যুর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব। কয়েক দশক ধরে চলে আসা এই বিরোধ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে আরো বহুগুণ বেড়েছে। উভয় পক্ষ একে অপরকে হুমকি-পাল্টা হুমকি দিচ্ছে। তবে এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতেও মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে সম্প্রতি সুর পাল্টাতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগান সঙ্ঘাত নিরসনে তালিবানের সাথে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে জড়িয়েছে তারা। সেই সাথে বেশ কয়েকটি দেশ থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

তারই সূত্র ধরে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়া সীমান্তবর্তী আল-কায়েম ঘাঁটিসহ মোট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিনিরা। সোমবার (১৬ মার্চ) মার্কিন সামরিক বাহিনীর কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়া সীমান্তবর্তী আল-কায়েম ঘাঁটিসহ মোট তিনটি সামরিক ঘাঁটি থেকে সেনাদের গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর


আরো সংবাদ



premium cement