হায় করোনা! তোমার মোকাবেলায় সারা দুনিয়ার সরকার দিচ্ছে লকডাউন। কিন্তু কেন জানি না, উচ্চ শ্রেণীরাই আক্রান্ত বেশি, মধ্য শ্রেণী নিল ডাউন, শ্রমজীবীরা চিঁড়ে চেপ্টা; নিম্নশ্রেণীরা বেডডাউন। যানবাহন এই বন্ধ এই খোলা। কেউ ট্রাক, কেউ অটো, কেউ মাইক্রো, কেউ লঞ্চ, কেউবা ভাড়ার মোটরসাইকেলে ছুটে চলেছে গন্তব্যে। শ্রমজীবী মানুষ করোনায় মরতে রাজি, তবু না খেয়ে মরতে রাজি নয়। আশ্চর্যের বিষয়, উচ্চ শ্রেণীদের ছাড়ছে না অথচ গরিবদেরকে ধরছে না। শহরগুলোতে রোগ বাড়লেও গ্রামের দিকে তেমন ঝুঁকছে না। ২২ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত আমার এলাকায় এক প্রাইমারি স্কুল মাঠে মাইকিং করে ফুটবল খেলায় তরুণ-কিশোরদের সমন্বয়ে বাঘে-সিংহের লড়াই দেখানো হলো। দর্শকও হামলে পড়ল। আর ধারাবিবরণী শুনে মনে হয় যেন বিশ্বকাপের খেলা চলছে। এরা শিক্ষাবঞ্চিত স্কুল কলেজপড়–য়া ‘টাইগার’। পত্রিকায় ছবি দেখা গেল, ‘লকডাউন’ ভাঙার অপরাধে রিকশাগুলো উল্টে হাত-পা উপর করে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। ভুখার দল একদিকে পেটের জ্বালা, এক দিকে পেটের পীড়ায় দিশাহারা। লাখো শিক্ষাবঞ্চিত ছন্নছাড়া। আবার সব ছাপিয়ে দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে অবিরাম ঝরছে সান্ত্বনার ঝর্ণাধারা।
কাজী মো: গোলজার হোসেন
ইসলামপুর, পায়রাবন্দ, মিঠাপুকুর, রংপুর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা