ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের অনার্সের ছাত্র আমি। সময় মতো পরীক্ষা হলে আমার এমএসসি শেষ হয়ে যেত এতদিনে। প্রথম বর্ষে নির্ধারিত সময়ের চার মাস পরে, দ্বিতীয় বর্ষে আট মাস পরে, তৃতীয় বর্ষে আট মাস পরে এবং চতুর্থ বর্ষে আট মাস পরে পরীক্ষা শুরু হয়। ফলে গড়ে শুধু স্নাতক কোর্স শেষ করতেই এক বছর সেশনজটে পড়তে হয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাত মাস পরে এবং চতুর্থ বর্ষের ফলাফল আজো হয়নি; যদিও পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে পাঁচ মাস আগে। এমনও হয়েছে যে, ৩০ মিনিটের একটা ল্যাব পরীক্ষার জন্য এক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে কোনো ট্রায়াল ক্লাস ছাড়াই। খুব কষ্ট করে পরীক্ষা এবং তার ফলাফল পেলেও আবার নতুন বর্ষের ক্লাস করার জন্য প্রায় দুই-তিন মাস ‘স্যার’দের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবরে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষ হলেও আজ পাঁচ মাস হতে চলেছে, তবুও এমএসসির ক্লাস শুরু হয়নি। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা ও ফলাফল না হওয়ায় চাকরির জন্য আবেদন করতে পারছি না। এ দিকে সবার বয়স বেড়ে যাচ্ছে এবং অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে, যা সবার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। ফলে সবাই হতাশ হয়ে যাচ্ছে। তাহলে শিক্ষকদের দায়িত্ববোধ কোথায়?
মো: লিটন আলী
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা