০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নূরীর মায়ের জামিন মঞ্জুর

- ছবি - ইন্টারনেট

বিএনপির ডাকা গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া নাশকতার মামলায় কারাগারে থাকা হাফসা আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

বুধবার বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

জামিন আদেশের পাশাপাশি কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এর ফলে নূরীর মা হাফসার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এ সময় আদালতে হাফসা আক্তারের চার বছর বয়সী নূরজাহান নূরী ও তার সাত বছর বয়সী বড় বোন আকলিমা উপস্থিত ছিল।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহিন আহমেদ খান।

এর আগে গত ৪ মার্চ (সোমবার) মায়ের জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় দাদির হাত ধরে হাইকোর্টে আসে চার বছর বয়সী নূরজাহান নূরী।

ওইদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগসংক্রান্ত ফুটেজ রাষ্ট্রপক্ষকে আদালতে দাখিল করতে বলেছেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থিত হতে বলতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, রাষ্ট্রীয় বর্বরতা ও নিপিড়নের বড় প্রমাণ এই ছোট্ট দু’টি শিশু। যদিও শিশুদের মিডিয়াতে আনা ঠিক না। কিন্তু তারা চলে এসেছে। তাদের বাবা বিএনপির একজন নেতা। এখানে যা হয়েছে তার বাবাকে না পেয়ে তার মা হাফসা আক্তারকে পুরানো একটি মামলায় গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আজ তিন মাস আট দিন হলো তিনি জেলে আছেন। জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছে। আমরা আদালতে বলেছি, দেশে যদি আইনের শাসন থাকত তাহলে এই শিশুদের আদালতে আসতে হতো না।

এ মামলায় গ্রেফতারের পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন হাফসা। এ মামলায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর তিনি জামিন চেয়ে রোববার হাইকোর্টে আবেদন করেন। সোমবার আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টে ওঠে।

গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন হয়েছিল। সেদিন নূরজাহান ও আকলিমার মতো মানববন্ধনে এসেছিল আরো কিছু শিশু। মানববন্ধনের ব্যানারে আয়োজক হিসেবে লেখা ছিল, ‘রাজবন্দীদের স্বজন’।

দুই শিশুর বাবা আবদুল হামিদ ভূঁইয়া বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। দুই শিশুর দাদা আবদুল হাই ভূঁইয়া ২৯ নভেম্বরের মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেছিলেন, তার বড় ছেলে হামিদ ভূঁইয়াকে পুলিশ খুঁজছে। তাকে না পেয়ে ছেলের স্ত্রী হাফসাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। অথচ হাফসা রাজনীতির সাথে জড়িত নন।


আরো সংবাদ



premium cement