ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের জামিন আবেদনের শুনানি ও আদেশ হবে আজ বুধবার।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) এই দিন ধার্য করে আদেশ দেন। আদালতে কিশোরের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
মহামারি করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে গত বছর ৫ মে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং অনলাইনে লেখালেখিতে সক্রিয় ব্যবসায়ী মুশতাক আহমেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করা হয়। র্যাব-৩ এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দিকের দায়ের করা এই মামলায় রাষ্ট্রচিন্তা নামক সংগঠনের দিদারুল ভূইয়া এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে পরে এ দু’জন জামিনে মুক্তি পান।
এই মামলায় আসামির তালিকায় মুশতাক, কিশোর, দিদার, মিনহাজের সাথে আরো ছিলেন নেত্র নিউজের সম্পাদক সুইডেন প্রবাসী তাসনিম খলিল, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার। তদন্তের পর মুশতাক, কিশোর ও দিদারকে আসামি করে গত ১৩ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় রমনা থানা পুলিশ। বাকি আট আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
রাষ্ট্রপক্ষে আনা আবেদনে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশে দায়িত্ব পাওয়ার পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক ও মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আফছর আহমেদ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদের তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন। সে বিষয়ে শুনানি করে ঢাকার একটি আদালত রোববার কিশোরকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করে দেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি অবস্থায় মামলার আসামি মুশতাকের মৃত্যু হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গাজীপুর জেলা প্রশাসন মুশতাকের মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুটো তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা