০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা : আপিল মামলা কার্যতালিকা থেকে বাদ

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা : আপিল মামলা কার্যতালিকা থেকে বাদ - ফাইল ছবি

শ্রমিকনেতা ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালাসপ্রাপ্ত ১১ জনের সাজা বাড়ানোর জন্য আনা আপিল মামলা কার্যতালিকা (কজলিস্ট) থেকে বাদ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্ত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। তার সাথে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বাসস’কে জানান, এ মামলায় হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে। শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠনের বিষয় রয়েছে, তাই আদালত আজ মামলা ‘আউট অব লিস্ট ফর দ্যা টাইম বিয়িং’ আদেশ দিয়েছেন।

২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ১১ জনকে খালাস দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ।

রায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ অন্য ছয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। বিচারিক আদালতে দণ্ড পাওয়া জীবিত ২৬ আসামির মধ্যে ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক থাকায় তার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি আদালত। এসব আসামির মধ্যে ১৭ জন কারাগারে ও ৯ জন পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া দুজন মারা গেছেন।

বিচারিক আদালতের দেয়া ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া ওই ১১ আসামি হলেন- আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল (পলাতক), লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির (পলাতক), খোকন (পলাতক), দুলাল মিয়া, রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর ও মনির।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আটজনের মধ্যে সাতজনের বিচারিক আদালতের দেয়া ফাঁসির সাজা কমেছে এবং বাকি একজনের আগের সাজাই বহাল রয়েছে।

এদিকে, মারা যাওয়া দুই আসামির করা আপিলের নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত। আর মামলার মোট ৩০ আসামির মধ্যে দু’জন বিচারিক আদালতেই খালাস পেয়েছিলেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় তৎকালীন সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। সেদিন নিহত হন ওমর ফারুক রতন নামের আরেক ব্যক্তিও।

মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও শ্রমিকনেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ১৯৯০ সালে গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার ছেলে মো: জাহিদ আহসান রাসেল বর্তমানে সংসদ সদস্য এবং সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খুশি রাখাই এ সরকারের পররাষ্ট্রনীতি : মির্জা ফখরুল ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ফিলিস্তিনপন্থী পোস্টে ‘লাইক’ দেয়ায় চাকরিচ্যুত ভারতীয় শিক্ষিকা গাজার আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবর : ৪৯ লাশ উদ্ধার র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হৃদয়-তাসকিন-মাহেদির ঠাকুরগাঁওয়ে জাল ভোট দেয়ার সময় যুবক আটক রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি মানবিক আবেদন কুবিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তদন্ত কমিটি গঠন ডলারের দাম একদিনেই কেন ৭ টাকা বাড়ানো হলো? হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবীদের ১৫তম ব্যাচের নতুন কমিটি বন্দরে ২ পোলিং এজেন্ট আটক, যুবকের কারাদণ্ড

সকল