০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শিশু রিফাত হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

-

পুরান ঢাকার লালবাগ থানা এলাকায় ছয় বছরের শিশু শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান রিফাতকে অপহরণ করে হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক রবিউল আলম এ দণ্ডাদেশ দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তের নাম আরিফুর রহমান জুয়েল। জুয়েলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। খালাস দেয়া হয়েছে ইকবাল মুন্সি ও হাবিবুর রহমানকে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৯ জুন রিফাত নিখোঁজ হন। রিফাতের বাবা তার সন্ধানে এলাকায় মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে হারানো ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেন। এরপর ওই দিন রাতেই লালবাগ থানায় একটি ডায়েরি করেন তার বাবা রফিকুল ইসলাম। পরদিন তার বাবার ফোনে অজ্ঞাত পরিচয় একজন ফোন দিয়ে তার ছেলেকে ফিরে পেতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

বাদি বিষয়টি র‌্যাব ও লালবাগ থানা পুলিশকে জানায়। র‌্যাব ও পুলিশের শেখানো কৌশলমতে বাদি অপহরণকারীদের সাথে আলোচনা করে আজিমপুর সেটনিটি হাসপাতালের ময়লা ফেলার জায়গায় ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আসেন। আশপাশে সাদা পোশাকে র‌্যাব-পুলিশ সদস্যরা ওতপেতে থাকেন। একপর্যায়ে অপহরণকারীর সদস্য আরিফুর রহমান ওই স্থান থেকে টাকা নিয়ে পালানোর সময় র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে।

তার দেয়া তথ্যমতে ইকবাল মুন্সি ও হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। আসামিদের দেয়া তথ্যমতে ২০১৫ সালের ১১ জুন গুদারাঘাটের পাশে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে শিশু রিফাতের বস্তাভর্তি লাশ উদ্ধার করা হয়। ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে সাক্ষী করা হয় ৩৫ জনকে। আদালতে বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দেন ২০ জন। অতঃপর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে একজনকে যাবজ্জীবন ও দুজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

এ রায়ে রিফাতের বাবা রফিকুল ইসলাম সন্তুষ্ট নয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পাইনি।’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল