মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক প্রধান ডেভিড পেট্রাউস বলেছেন, ইরানের হামলার জবাব কিভাবে দেয়া যায়, তা নিয়ে ইসরাইল সরকারের ভেতরে বিতর্ক চলছে, যাতে উত্তেজনা আরো না বাড়ে, আবার তা ইসরাইলি প্রতিরোধ সক্ষমতাকেও প্রদর্শন করবে। ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে কী জবাব দেয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করেছে ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। তবে ইরানকে জবাব দেয়ার বিষয়ে ইসরাইল কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে কি না, তা প্রকাশ করেনি ইসরাইলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বিবিসি।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, তারা সামনের দিকে তাকাচ্ছেন। তারা সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করছেন। ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান যে এতগুলো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, তার জবাব দেয়া হবে। ইরানের হামলার জবাবে ইসরাইল ঠিক কী পদক্ষেপ নেবে, তা নির্দিষ্ট করেননি জেনারেল হারজি। তা ছাড়া কবে, কখন ইসরাইল এই জবাব দেবে, তার কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি।
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক প্রধান ডেভিড পেট্রাউস বিবিসি রেডিও ফোরের ওয়ার্ল্ড টুনাইট অনুষ্ঠানে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক হামলার মধ্য দিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়–ক, তা চায় না ওয়াশিংটন। জেনারেল পেট্রাউস ইরাক ও আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইরানের হামলা ‘খুব বড় ঘটনা’। ঘটনাটি ইসরাইলের জন্য কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, তা পশ্চিমাদের বুঝতে হবে।
জেনারেল পেট্রাউসের মতো, এখন চ্যালেঞ্জ হলো পরবর্তী করণীয় নিয়ে কিছুটা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। যদি কোনো কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যায় কিংবা উপসাগরীয় অঞ্চলে অবাধে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে কোনো ঝামেলা হয়। এরই মধ্যে ইরান একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে, যা উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। জেনারেল পেট্রাউস এখন অবসরে আছেন। তিনি বলেন, ইরানের হামলার জবাব কিভাবে দেয়া যায়, তা নিয়ে ইসরাইল সরকারের ভেতরে বিতর্ক চলছে; যা উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দেবে না, আবার তা ইসরাইলি প্রতিরোধ সক্ষমতাকেও প্রদর্শন করবে। জেনারেল পেট্রাউস বলেন, ইরানকে জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে এখন ইসরাইলের সামনে বেশ কিছু অপ্রতিসম বিকল্প আছে। এগুলো এমন বিকল্প, যার মাধ্যমে উত্তেজনা না বাড়িয়েও জবাব দেয়া যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা