০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্বামীর মেসেজ পড়ায় জেল

-

লুকিয়ে লুকিয়ে স্বামীর মোবাইলের মেসেজ পড়তেন স্ত্রী। এই নিয়ে স্বামীর সাথে বিরোধ চলছিল। বেচারা স্বামী নিত্য অশান্তি না নিতে পেরে দিলেন মামলা ঠুকে। সেই মামলায় স্বামীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দায়ে স্ত্রীকে জেল-জরিমানা করেছে আদালত! সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম স্ত্রীকে জানিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন ওই ব্যক্তি। দ্বিতীয় স্ত্রীও তার স্বামীর আগের বিয়ের ব্যাপারে জানতেন। কিন্তু তারপরও স্বামীর মোবাইল থেকে প্রথম স্ত্রী আর প্রথমপক্ষের মেয়ের পাঠানো মেসেজগুলো লুকিয়ে পড়তেন তিনি। আর এই নিয়ে স্বামীর প্রথম স্ত্রী আর স্বামীর সাথে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত দ্বিতীয় স্ত্রীর। এই বিরোধের জেরে প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ওই ব্যক্তির। বিয়ে ভাঙার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীকে দায়ি করে আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। প্রথম বিয়ে ভাঙার ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোটা অঙ্কের জরিমানাও দাবি করেন ওই ব্যক্তি।
আদালত এই ঘটনায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে দোষি সাব্যস্ত করে এক মাসের কারাদণ্ড আর বাংলাদেশী মুদ্রায় দুই লাখ টাকার মতো জরিমানা করেন। ইন্টারনেট।

 

দানবীয় আয়না
ষ নয়া দিগন্ত ডেস্ক
আহ্নিক গতির ফলে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর যে স্থানটি সূর্যের সামনে আসে সেখানে হয় দিন এবং এর ঠিক বিপরীত দিক সূর্যের আলো পৃথিবীর গোলাকৃতি কক্ষে পৌঁছতে পারে না, তাই সেই স্থানটিতে হয় রাত্রি। তবে এই পৃথিবীতেই এমন শহর আছে যেখানে বছরে ছয় মাস সূর্যের আলো পৌঁছায় না। বলা হচ্ছে নরওয়ের রুকান শহরের কথা। শহরটির অবস্থান দুইটি বিশাল পাহাড়ের মাঝে। এই দুই পাহাড়ের কারণে শীতকালের ছয় মাস সূর্যের আলো পৌঁছায় না এখানে। তবে শীতকালেও সূর্যের আলো পাওয়ার জন্য এক অভিনব কৌশল করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
শহরটি দক্ষিণ নরওয়ের টেলিমার্ক এলাকার কাছে উপত্যকায় অবস্থিত। শহরটি নর্স্ক হাইড্রোতে নরওয়েজিয়ান অ্যালুমিনিয়াম এবং পুনর্বীকরণযোগ্য শক্তি সংস্থায় কর্মরত শ্রমিকের জন্য একটি হাইড্রো পাওয়ার হাউজ হিসেবে গড়ে উঠেছিল। শহরটির প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা স্যাম আইডে ১৯০৫ থেকে ১৯১৬ সালের মধ্যে শহরটি গড়ে তুলেছিলেন। তিনি এখানে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন। কারখানার শ্রমিকদের সূর্যের আলো পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ১৯১৩ সালের মধ্যে তিনি একটি দানবীয় আয়না স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তবে তার জীবদ্দশায় সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সে সময় আয়নার বিকল্প হিসেবে এরিয়াল ট্রামওয়ে বা ক্রিওপেন নামে একটি গন্ডোলা লিফট তৈরি করা হয়েছিল। এটি শহরের বাসিন্দাদের পাহাড়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো। এতে করে বাসিন্দারা সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পেতেন।
অবশ্য স্থানীয় জনগণ আর মার্টিন অ্যান্ডারসন নামে এক শিল্পী কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে স্যামের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এ জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় ১০০ বছর। ২০১৩ সালে স্থাপিত ‘রুকান সূর্য আয়না’ এখন শহরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বর্গফুট এলাকায় সূর্যের আলো পৌঁছে দেয়। দানবীয় তিনটি আয়নার সাহায্যে শহরের প্রায় ৮০ ভাগ এলাকায় সূর্যের আলো পৌঁছে যায়।
এই দানবীয় আয়না স্থাপনের পর শহরের প্রকল্প পরিচালক অস্টিন হগেন বলেছিলেন, এই আয়না শহরবাসীর অনেক উপকারে আসছে। শহরের পর্যটন শিল্পেরও প্রসার ঘটেছে এই আয়নার কারণে। ২০১৫ সালে এই জায়গাটিকে নরওয়ের অষ্টম বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল