১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


কমছে বাজেট বাস্তবায়ন হার : বাড়ছে সুদ ব্যয়

-

বাজেট বাস্তবায়ন কমছে। কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে সুদ ব্যয়। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বাজেট বাস্তবায়ন হার ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) যা ছিল ২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অর্থ বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাজেটে অর্থ ব্যয়ের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে সুদ পরিশোধ খাত। এ খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় করা হয়েছে ২৭ শতাংশ। এরপর রয়েছে সরকারি প্রশাসন খাত। এখানে ব্যয় হয়েছে ২১ শতাংশ। শিক্ষায় ২০ শতাংশ, জননিরাপত্তায় শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ এবং প্রতিরক্ষায় ব্যয় হয়েছে ৮ শতাংশ।
এ দিকে সরকারের সুদ ব্যয় কমেই বেড়ে চলেছে। চলতি অর্থবছরসহ আগামী দুই অর্থবছরে ঋণের সুদ খাতেই সরকারকে ব্যয় বহন করতে হবে দুই লাখ ২৫ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সুদ ব্যয় হবে ৬৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। এর পরবর্তী দুই অর্থবছর অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে ৭৪ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৮৬ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩’, এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের জন্য এই সুদ ব্যয় আরো খানিকটা বেড়ে যাবে। চলতি অর্থবছরে শুধু দেশীয় ঋণের সুদ খাতে পরিশোধ করতে হবে ৫৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। এর পরবর্তী দুই অর্থবছরে যা হবে যথাক্রমে ৬৮ হাজার ৮০ কোটি এবং ৭৮ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা। অন্য দিকে একই সময় বিদেশী ঋণের সুদ ব্যয় হবে (তিন অর্থবছরে) যথাক্রমে পাঁচ হাজার ৫৩০, ছয় হাজার ৮১০ কোটি এবং আট হাজার ৯০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ বেড়ে যাবে বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘সরকার মধ্যমেয়াদে দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে এনে বাজেট ঘাটতিকে জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছে। অভ্যন্তরীণ ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০২২-২৩ অর্থবছর নাগাদ প্রক্ষেপিত হয়েছে জিডিপির ২ দশমিক ৯ শতাংশ (ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত উৎসের অনুপাত হবে ৪.৩)। অন্য দিকে এ সময়ে বহিঃউৎস থেকে অর্থায়ন জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ হিসেবে প্রক্ষেপণ করা হয়। মধ্যমেয়াদে ব্যয়বহুল ব্যাংকবহির্ভূত ঋণের পরিমাণ (যেমন সঞ্চয়পত্র) কম থাকবে এবং ব্যাংক ঋণ থেকে ঘাটতি অর্থায়ন প্রধান অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে থাকবে।’ আর এসব কারণে ঋণের সুদ ব্যয় কিছুটা বেড়ে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ছয় বছরের ব্যবধানে সরকারের সুদ ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। শতাংশ হিসাবে যা ১১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। সেখানে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে ব্যয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। এ সময় অভ্যন্তরীণ সুদ ব্যয়ের পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয়ও ৫ গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত গত কয়েক বছরে সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক থেকে অধিকহারে ঋণ নেয়ার কারণে এই ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় করা হয়েছে ৫৭ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় হয়েছে ৫২ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের সুদ ব্যয় চার হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৪৫ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা এবং বিদেশী সুদ ব্যয় তিন হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। ২০-১৭-১৮ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ সুদ ব্যয় ৩৮ হাজার ১৬০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের সুদ ব্যয় ছিল তিন হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। একইভাবে ১৬-১৭ অর্থবছরে এই ব্যয় যথাক্রমে ৩৮ হাজার ২৪০ কোটি টাকা এবং এক হাজার ৭১১ কোটি টাকা। ১৫-১৬ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৪৪ কোটি টাকা ও এক হাজার ৬২৫ কোটি টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ সুদ ব্যয় ছিল ২৯ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের সুদ ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
এক বছর পর দাউদকান্দিতে ড. মোশাররফ গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবিতে সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন রাজধানীতে আ’লীগের শান্তি সমাবেশ আজ কুয়াকাটা সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমুদ্রস্নান সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ওষুধের দোকান বন্ধের নির্দেশ ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আ’লীগ জনগণকে নাগরিক হিসেবে বাতিল করেছে : জোনায়েদ সাকি ইবিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন মালয়েশিয়ায় বিএমইটি কার্ডের নামে প্রতারণার ফাঁদ : সতর্ক করল দূতাবাস ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল আল মাহমুদপুত্র মীর তারিকের ইন্তেকাল

সকল