০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কোমা ভেঙে দেখে পাশে নিজ শিশু

-

১৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ তরুণী এবনি স্টিভেনসন। অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে যাওয়ার পর যখন জ্ঞান ফিরল তখন দেখল তার পাশে ফুটফুটে এক কন্যাশিশু। ডাক্তাররা যখন স্টিভেনসনকে জানাল যে, এই শিশু তারই তখন সে বিস্ময়ে হতবাক। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের ওল্ডহ্যাম শহরে সম্প্রতি এই তাক লাগানো ঘটনাটি ঘটে। হঠাৎ করেই প্রচণ্ড ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে ডাক্তাররা দেখেন স্টিভেনসন সন্তানসম্ভবা। পেটের শিশুকে বাঁচাতে হলে তাকে তক্ষুণি পেট থেকে বের করতে হবে। স্টিভেনসনের মা কিছুতেই এই কথা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কারণ মেয়ের শরীরে গর্ভের কোনো লক্ষণই ছিল না।
কিন্তু ডাক্তাররা তাকে দেখান যে, হঠাৎ হঠাৎ কেমন যেন ফুলে উঠছে স্টিভেনসনের পেট। অবশেষে অস্ত্রোপচার হয়। জন্ম নেয় ফুটফুটে কন্যাশিশু।
ডাক্তাররাও খুব অবাক হয়েছিলেন এই জেনে যে, যিনি গর্ভবতী তিনি নিজেই সেই কথা জানতেন না। এমনকি গর্ভবতী নারীদের পেট যেভাবে ফুলে ওঠে তেমন কিছ্ওু দেখা যায়নি স্টিভেনসনের শরীরে। এই তরুণীর মাসিকও হয়েছে প্রতি মাসে নিয়মিত। তাহলে শিশু কিভাবে জন্ম নিল!
ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘ইউটেরাস ডিডালফিস’। ডাক্তাররা বলেছেন, স্টিভেনসনের ছিল দুটো জরায়ু। সামনের জরায়ুটি থেকে প্রতি মাসে মাসিক হয়েছে। আর পেছনে লুকিয়ে থাকা দ্বিতীয় জরায়ুতে বেড়ে উঠেছে এই শিশু। ফলে গর্ভাবস্থায় তার পেটও বড় হয়নি। শুধু মাঝে মধ্যে সকালবেলায় তার একটু দুর্বল লাগত। এ ছাড়া আর কিছুই টের পাননি তিনি। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement