আমাদের চারপাশে জানা-অজানা কত না ফুল ফোটে থাকে। কোনোটি আমাদের কাছে বেশ পরিচিত আবার এমনো ফুল আছে যার নাম আমরা কখনো শুনিনি। তেমনই একটি ফুল পটপটি। প্রকৃত নাম রুয়েলিয়া। তবে মানিকগঞ্জ এলাকায় এটি জংলি ফুল হিসেবেই পরিচিত।
রুয়েলিয়া মূলত এক প্রকারের বনফুল। রুয়েলিয়া সাধারণত দলবেঁধে থাকতে পছন্দ করে। তাই যেখানে এ ফুল গাছ জন্মে সেখানে অনেক গাছ একসাথে দেখা যায়। রুয়েলিয়া লাজুক প্রকৃতির ফুল। সকালে যে ফুল ফুটতে দেখবেন দুপুর হলেই দেখা যায় সে ফুল আবার তার খোলস বন্ধ করে আছে। রাস্তার ধারে শত শত ফুটন্ত রুয়েলিয়া দেখে মনে হয় যেন প্রাকৃতিক ফুলের বাগিচা।
জানা যায়, রুয়েলিয়া বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। গাছের তুলনায় ফুল বেশ বড়। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা, ষোড়শ’ শতকে এ দেশে আগমন। পটপটি বা রুয়েলিয়া ফুলের ইংরেজি নাম : Popping pod. বৈজ্ঞানিক নাম : Ruellia tuberosa. পরিবার : Acanthaceae.
এ ফুলের রঙ হালকা বেগুনি। দেখতে অনেকটা কলমি ফুলের মতো। অনেকে আবার ধুতরা ফুলের সাথে মিলিয়ে ফেলেন। পাপড়ির উপরের অংশ পাঁচ ভাগে বিভক্ত বর্ষজীবী এই গুল্মের শিকড় বেশ মোটা ও শক্ত। বেগুনি রঙের এ ফুল যে কারো মন নাড়িয়ে দেয়। অনেকে শখ করে বাড়ির ছাদে টবে রুয়েলিয়া গাছ লাগিয়ে থাকেন। রুয়েলিয়া ফুলের ভেষজ গুণ রয়েছে। বিশিষ্ট চিকিৎসক হাকিম উত্তম পালিত বলেন, এ গাছের শিকড় মূত্রনালীর পাথর অপসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। রুয়েলিয়ার পাতার রস কণ্ঠনালীর রোগে ব্যবহার করা হয়।
আমরা না জেনেই আমাদের চারপাশের অনেক প্রয়োজনীয় ও সুন্দর গাছ ধ্বংস করি। তাই আমাদের এসব গাছ সংরক্ষণ করা এবং আশপাশের মানুষকে সচেতন করা উচিত।