২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জমিও পালাম না, ঘরও পালাম না

জমিও পালাম না, ঘরও পালাম না - ছবি : নয়া দিগন্ত

ষাটোর্দ্ধ ভূমিহীন নবিরন খাতুন। এই বয়সেও পূরণ হয়নি তার স্বপ্ন। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে এখনো জীবন যাপন করেন জরাজীর্ণ বাড়িতে। স্বপ্ন ছিল শেষ বয়সে অন্তত ফুটো টিনের পরিবর্তে একটু ভালো ঘরে থাকবেন। সে স্বপ্ন পূরণ হওয়া তো দূরের কথা যে জমিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাও বিক্রি হয়ে গেছে। কোথায় যাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। পাগলের মতো ছুটছেন সরকারি দফতরগুলোতে।

২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ঘর নির্মাণের জন্য সরকারিভাবে কবুলিয়ত খাস জমি পান তিনি। দীর্ঘ পাঁচ বৎসর পেরিয়ে গেলেও এখনো দখল পাননি। মেলেনি সরকারি সহায়তা। উল্টো তাকে গালিগালাজ, ধামকি শুনতে হচ্ছে।

নবিরনের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার তেলিপুকুর গ্রামে। তিনি চুন্নু মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, দশ বছর আগে স্বামী হারিয়েছেন নবিরন। পরের জায়গায় কোনো রকম ঘর পেতে এক ছেলে নিয়ে বসবাস করেন। কখনো খাবার জোটে, কখনো জোটে না। ৪০ দিনের কর্মসূচিসহ বিভিন্ন জায়গায় মাটি কাটার কাজ করে সংসার চালাতেন। এখন কাজে অক্ষম হয়ে পড়েছেন। তবুও ভিক্ষা করেন না। ২৫/২৬ বছর আশ্রয় নেয়া জমিও এখন বিক্রি হয়ে গেছে। যেকোনো সময় তার ওই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। এখন তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

নবিরোন নেছা বলেন, ‘আমার দশটাকার একখান কার্ডও নাই, ভিজিএফ কার্ডও নাই। বিধবা ভাতা বানাবো তাও বলে ৫/৬ হাজার টাহা লাগবি। এন্নে আমার কাছে টাহা নাই বাজান। আমি এহন কি হরব। কোন ধকল নাই। পরের জায়গায় থাকিরে বাজান, এট্টু জাগা জমি নাই। বিভাগ কমিশনার জমিডা দিছিল। আপনারা মনে হরেন বিটি ভিক্ষে হরে খায়। না বাজান ভিক্ষে হরে খাইনে। সারাজীবন কাম হরে খাইছি। আমার জমিডা আমারে এহন কেউ বুঝে দেয়না। অফিসি গিলি কয় তোমার বাপের জমি নাহি। আমারে বিশ্রি কতাবাত্তারা কয়। সরকার জাগার ঘর নাই তাগারে জমি দিচ্ছে, ঘর দিচ্ছে। আমি জমিও পালাম না, ঘরও পালাম না।'

মহম্মদপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাবেয়া বেগম বলেন, নবিরন নেছা সরকারিভাবে জমি পেয়েছে। কিন্তু দখলে যেতে পারছে না। আমি আগের ইউএনও স্যারের কাছে বলেছিলাম তার দখল বুঝায়ে দেওয়ার জন্য।

এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, অনেকে আছে তাদের সামর্থ্য নেই জমিতে যাওয়ার। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন দিলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, তিনি আবেদন দিলে তার কাগজপত্র দেখে জমির দখল দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল