চা দোকানির ছেলের গোল্ডেন এ প্লাস, তবুও শঙ্কা ভবিষ্যত নিয়ে
- জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা
- ০৫ জুন ২০২০, ১৬:২৫, আপডেট: ০৫ জুন ২০২০, ১৬:২৩
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা শহরে অবস্থিত আদর্শ শাপলাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরিক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছেন শামীম আহমেদ লিয়ন। তিনি উপজেলা শহরের হাসপাতাল রোডের চা দোকানি আহসান কবির ও শাহানাজ পারভিন দম্পতির ছেলে। তার বাবা আহসান কবিরের আয়ের একমাত্র উৎস চা বিক্রি।
আহসান কবির বলেন, আমার একমাত্র সন্তান লিয়নের ফলাফলে আমি খুব খুশি হয়েছি। ছেলে আমার স্বপ্ন পুরণ করেছে। আমার আয়ের একমাত্র উৎস একটি ছোট চায়ের দোকান। সেখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে ছেলের লেখাপড়ার পিছনে ব্যয় করি আর সংসার চালাই। ছেলের ইচ্ছা তিনি ইঞ্জিনিয়ার হবেন। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার বানাতে হলে তো ভালো কলেজে ভর্তি করতে হবে এবং খরচও অনেক বেশি। আমার তো আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। এখন আমি কি করবো, কিভাবে টাকা জোগাড় হবে তা বুঝে উঠতে পারছি না।
চা দোকানি কবিরের ছেলে গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়ায় ভীষণ আনন্দের মাঝেও চিন্তায় পড়েছেন কিভাবে ছেলেকে ভাল কলেজে ভর্তি করবেন এবং ভর্তির টাকায় বা কিভাবে জোগাড় করবেন?
জীবননগর আদর্শ শাপলাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রকিবুল ইসলাম বলেন, দরিদ্র চা দোকানির ছেলে লিয়ন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র, তিনি আমার বিদ্যালয়ের গর্ব। লিয়ন পিএসসি ও জেএসসি পরিক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন। আমার বিশ্বাস তিনি ভবিষ্যতে আরো অনেক ভালো করবে। এসএসসি পরিক্ষা স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ। ভবিষ্যত সফলতার জন্য তাকে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। জীবনের সব বাধা অতিক্রম করে তাকে উচ্চ শিক্ষার গণ্ডি পার হতে হবে। লিয়নদের মতো হতদরিদ্র মেধাবীরা সকলের দোয়া আর সহযোগিতা না পেলে অকালেই ঝরে পড়তে পারে।
জীবননগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট (অনারারি) মুজিবুর রহমান বলেন, গরীব-ধনী কোনো কথা নয়, নিজের ইচ্ছা শক্তি দিয়ে লেখাপড়া করলে অবশ্যই রেজাল্ট ভাল হবে। লিয়ন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ার পরও ভাল রেজাল্ট তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। লিয়ন দরিদ্র চা দোকানির ছেলে হয়েও গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। ভবিষ্যতে তার লেখাপড়ার ব্যাপারে সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগীদের সহযোগিতার হাত বাড়ানো উচিৎ বলে মনে করি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা