২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দাম চড়া হওয়ায় পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

- সংগৃহীত

এখনও বাজারে একশ টাকা কেজির নিচে কোনো পেঁয়াজ নেই। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতে হলে কেজি প্রতি গুণতে হয় দেড়শ টাকা বা তারও বেশি। গত বছরের শেষে হঠাৎ করেই আলোচনায় চলে আসে পেঁয়াজের বাজার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে দাম। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যায় এ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যটি। দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। ভালো লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মাঝে। যশোরের চৌগাছা উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।

চৌগাছা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ফুলসারা ও ধুলিয়ানী ইউনিয়নে ২৫ হেক্টর করে, পাশাপোলে ৫৫, সিংহঝুলিতে ১০, চৌগাছা সদরে ৪০, জগদীশপুর, পাতিবিলা ও হাকিমপুরে ৩০ হেক্টর করে, স্বরুপদাহে ৮৫, নারায়ণপুরে ৬০, সুখপুকুরিয়ায় ৮০ ও চৌগাছা পৌর এলাকায় ২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে।

রামকৃষ্ণপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আফজাল হোসেন  বলেন, ‘এ বছর আমি তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছি। বাজারে দাম ভালো তাই আশা করছি ভালো মুনাফা হবে।’

একই গ্রামের বাবলু, উসমান গনি ও হায়দার আলী জানান, প্রতিবছর তারা পেঁয়াজ চাষ করেন কিন্তু তেমন লাভ হয় না। এ বছর বাজারে যেহেতু দাম ভালো, তাই তাদের আশা, বেশ মুনাফা হবে।

রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আতউর রহমান বলেন, ‘আমরা অধিকাংশ জমিতে ধানের চাষ করি। এ বছর লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষ করেছি। দেখি কী হয়!’

চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বলেন, ‘এবছর বাজারে পেঁয়াজের ভালো দাম রয়েছে। সেকারণে পেঁয়াজের চাষ বেশি হয়েছে। পেঁয়াজের ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছি। আমরা প্রতিনিয়ত চাষিদের পাশে থেকে পরামর্শসহ নানা প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’

কৃষি অফিসের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় অন্যবারের তুলনায় পেঁয়াজ চাষ বেশি হয়েছে। বাজারদর বেশি হওয়ায় চাষ বেড়েছে বলে জানান তিনি। সূত্র ; ইউএনবি।


আরো সংবাদ



premium cement