পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মারুফা বেগমকে (২৮) গত ১৭ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরের পাড়ে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্বামী শহিদুল ইসলাম (৪০)।
খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রতিবেশীর টয়লেটের চাকতির মধ্যে লাশ লুকিয়ে রেখে স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে ১৯ নভেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
এরপর থেকে ঝালমুড়ি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাপন করছিলেন।
কিন্তু ঘটনার ১০ দিন পর আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় এলাকাবাসী সন্দেহের ভিত্তিতে শহিদুলকে আটক রেখে থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক স্বামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: দেলোয়ার হুসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল ইসলাম তার দ্বিতীয় স্ত্রী মারুফা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তার বর্ণনা অনুযায়ী লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা