পাকিস্তানে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ২৭ হাজার স্কুল ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে দেশটির ২০ লাখেরও বেশি শিশু তাদের শিক্ষা জীবনে ফিরে যেতে পারছে না বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।
বৃহস্পতিবার তারা এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউনিসেফ বলেছে, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বন্যা পরিস্থিতি পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকাকে গ্রাস করেছে। বন্যার পানি পুরোপুরি হ্রাস পেতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পাকিস্তান ও জাতিসঙ্ঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মৌসুমী ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট এই বন্যায় সারাদেশে তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। বন্যার পানিতে কমপক্ষে ৮০ হাজার ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। এছাড়া ১২ লাখ গবাদিপশু মারা গেছে এবং ৯৪ লাখ একর ফসলি এলাকা ডুবে গেছে।
ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, পাকিস্তানে বন্যার কারণে ৩৫ লাখেরও বেশি শিশুর শিক্ষা ব্যাহত হয়েছে। এতে সতর্ক করে বলা হয়, স্কুলগুলো যত বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকবে, শিশুদের পুরোপুরি ঝরে পড়ার ঝুঁকি তত বেশি হবে। তাদের শিশুশ্রমে বাধ্য হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। প্রায় ২২ কোটি মানুষের দেশটিতে অন্য ধরনের নির্যাতনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।
ইউনিসেফের মতে, পাকিস্তানে ইতোমধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক স্কুল-বহির্ভূত শিশু রয়েছে। যা কিনা মূল জনসংখ্যার ৪৪ ভাগের প্রতিনিধিত্ব করে। এদের বেশির ভাগের বয়স পাঁচ থেকে ১৬ বছর।
ইউনিসেফ বলছে, তারা পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে ৫০০টিরও বেশি অস্থায়ী শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করেছে এবং শিক্ষক ও শিশুদের শিক্ষাদানে সহায়তা করেছে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা