দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টার জটিল অপারেশনের পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আলাদা করা হলো কুড়িগ্রামের মেরুদণ্ড জোড়া লাগানো শিশু নুহা ও নাবা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সোমবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত জটিল অস্ত্রোপচারে তাদের পৃথক করা হয়। অস্ত্রোপচার পরবর্তী অবস্থায় নুহা ও নাবা ভালো আছে।
এ দিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুই শিশু সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
শিশু দু’টির সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নাবা ও নুহা এখন দু’জনেই পৃথক। তারা ভালো আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু নুহা ও নাভার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের চিকিৎসার সব খরচ প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে বহন করছেন। তিনি নুহা ও নাভার সার্বক্ষণিক খবর নিচ্ছেন। দেশের চিকিৎসার ইতিহাসে যুগান্তকারী ঘটনা এটি।
সামন্ত লাল সেন বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। আমাদের দেশে প্রচুর শিক্ষার্থী প্রতিবছর মেডিক্যাল পড়ালেখা শেষ করে চিকিৎসক হচ্ছেন। আমাদের চিকিৎসকরা যেমন মেধাবী তেমন দক্ষ। শুধু একটু সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে এবং তাদেরকে দায়িত্ব অনুযায়ী ভরসা দিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে কোন রোগীকে আর আগামীতে বিদেশ যেতে হবে না।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগেই আমরা ভুটানের ক্যান্সার আক্রান্ত এমন এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে ভালো করেছি যার চিকিৎসা ভারত ও ব্যাংককেও সম্ভব হয় নাই। কাজেই বাংলাদেশ পারে না এমন কোনো কাজ নাই। বাংলাদেশেই এখন সব রোগের চিকিৎসা সুবিধা আছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএসএমএমইউতে নুহা ও নাবা নামের দু’টি শিশুকে আলাদা করার অপারেশন সাকসেসফুল হলো। এটি সাধারণ কোনো কাজ নয়। এখানে আমাদের অভিজ্ঞ বড় একটি চিকিৎসক টিম একটানা ১৩ ঘণ্টার বেশি সময় অপারেশন করে এই অসাধ্য কাজ সাধন করেছেন। এই অপারেশন ভারত বা বাইরের দেশে করতে গেলে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হত। কিন্তু বাংলাদেশে এই দুই অবুঝ শিশুর চিকিৎসা ব্যয় প্রধানমন্ত্রী নিজে বহন করেছেন।
এ সময়ে বিএসএমএমইউ এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, নুহা ও নাবার মাসহ অন্যান্য সিনিয়র চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা