১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


প্রস্রাব ঝরা : সমস্যা ও সমাধান

প্রস্রাব ঝরা : সমস্যা ও সমাধান -

সাধারণত আমাদের দেশের ৩৫-৬৫ বছরের মেয়েদের একটি বিরাট অংশ যা শতকরা ১০ ভাগ হাঁচি, কাশি বসা থেকে উঠা বা ভারী কোনো জিনিস তোলার সময় মূত্র থলির সঙ্কোচন ছাড়াই অনিচ্ছাকৃতভাবে অল্প পরিমাণ মূত্র বের হয়। অনেকেই এটাকে পাত্তা দিতে চান না বা লজ্জায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে চান না। এটা কিন্তু একটা রোগ। আর একে স্ট্রেস ইউরিনারি ইনকনটিনেন্স (এসইউআই) বলা হয়। মহিলাদের সাথে সাথে পুরুষরাও এ সমস্যায় ভুগতে পারেন। সচেতনতাই পারে এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে।
সামান্য কোনো চাপ প্রয়োগ করলেই প্রস্র্রাবের রাস্তা দিয়ে কয়েক ফোঁটা থেকে অল্প পরিমাণ মূত্র বের হয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রস্র্রাবের সংক্রমণ, জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবের থলির অংশ বিশেষ যোনিপথে বের হয়ে আসা, জরায়ু নেমে আসাসহ অন্যান্য স্ত্রীরোগও থাকতে পারে। এটি একটি বিশেষ রোগ বিধায় এর চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়াই বাঞ্ছনীয়। এর চিকিৎসায় সাধারণ জীবন মানের পরিবর্তন, বিশেষ ব্যয়াম, মুখে খাওয়ার ওষুধসহ বিশেষ অপারেশনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রচারণার অভাবে রোগীরা বিনা চিকিৎসায় থাকেন।
এ রোগ প্রতিরোধে পরিমিত পানি পান করা ( পূর্ণ বয়স্ক পুরুষের জন্য প্রায় ১.২ থেকে ১.৫ লি:), ওজন কমানো, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করা, বেশি বেশি সবজি জাতীয় খাবার খাওয়া, ইসবগুলের সরবতও খাওয়া, প্রস্রাব-পায়খানার বেগ চেপে না রাখা, প্রস্রাবের সংক্রমণ, জ্বালাপোড়া, সিসটোসিল, ইউটিরাইন প্রলাপসসহ অন্যান্য স্ত্রীরোগের চিকিৎসা নিতে হবে। আবার রোগীকে মূত্রনালীর বা তলপেটের আশপাশের মাংসপেশিকে সবল করার জন্য বিশেষ এক ব্যয়াম রোগীকে শেখানো হয় যা নিয়মিত অভ্যাস করলে রোগীর সংশ্লিষ্ট মাংসপেশি শক্তিশালী হয় এবং রোগীর মূত্রথলিতে মূত্র ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
তা ছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর রোগের তীব্রতা অনুসারে মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে থাকেন যা নিয়মিত সেবন করলে কোনো কোনো সময় উপকার পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এই রোগের জন্য রোগীর প্রয়োজন ও সামর্থ্য অনুসারে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা আছে। এই অপারেশনের জটিলতা যেমন কম তেমনি এর সফলতাও অনেক বেশি।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ফিমেল অ্যান্ড অ্যান্ড্রোলজিক্যাল ইউরোলজি বিভাগ, বিএসএমএমইউ


আরো সংবাদ



premium cement