২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মানসিক রোগের কথা

-

বাংলাদেশে প্রায় ১৬% প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১৮% শিশু-কিশোর মানসিক রোগে আক্রান্ত। তবে সাম্প্রতিক ডাটায় দেখা যাচ্ছে মানসিক রোগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া শারীরিক রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের, যেমন উগ, ঝঃৎড়শব ও ঈধহপবৎ এ মানসিক সমস্যা দেখা যায়।
কেন দেশে মানসিক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে তার অনেক কারণ আছে। উল্লেখযোগ্য কারণ ক্রমাগত সামাজিক এবং অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি, পারিবারিক বন্ধনজনিত সমস্যা, সুস্থ বিনোদনের অভাব, নেশার আসক্তি, ইন্টারনেট আসক্তি। নেশার কারণে মানসিক রোগ দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে।
মানসিক রোগ কী ?
মানসিক রোগ হচ্ছে রোগীর অস্বাভাবিক আচরণ, অস্বাভাবিক জীবন-যাপন যা মস্তিষ্কের রোগের কারণে হয়। যার জন্য স্বাভাবিক পারিবারিক, সামাজিক, পেশাগত জীবন ব্যাহত হয় অথবা রোগী তীব্র মানসিক যন্ত্রণা বা অস্বস্তিতে ভোগে।
মন কী? মনের কয়টি অংশ?
উত্তর: মন বলতে আমরা ব্রেইনকেই বুঝি। মন মানে হৃদপি- নয়। আবার মন বলতে আত্মা বা ঝড়ঁষ কেও বুঝায় না। মন থাকে মস্তিষ্কে। মনের সাধারণত ৩টি অংশ । ক) সচেতন মন, খ) অচেতন মন, গ) অবচেতন মন। সচেতন মন, মনের মাত্র ১০ ভাগ। মনের ৯০ ভাগ জুড়ে রয়েছে অচেতন বা অবচেতন মন।
মানসিক রোগ কেন হয়?
প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। কারণগুলোর মধ্যে জেনেটিক বা বংশগত প্রভাব, পরিবেশগত প্রভাব, শারীরিক মানসিক যৌন নির্যাতন, অস্বাভাবিকভাবে শিশুর লালন-পালন, ইন্টারনেট সহ অন্যান্য নেশা দ্রব্যের ব্যবহার, মস্তিষ্কের গঠন জনিত সমস্যা, নিউরো ট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতা, দীর্ঘমেয়াদী ঘুমের অভাব, দীর্ঘমেয়াদী অস্বাভাবিক চাপ, এছাড়া মৃগীরোগ, ঝঃৎড়শব, ডায়াবেটিকস্, যবধফ রহলঁৎু, ব্রেইন টিউমার, কিডনি, যকৃত, হৃদপি-ের ফেইলিয়রও মানসিক রোগের কারণ হতে পারে।
আমাদের দেশের সাধারণ মানসিক রোগগুলো কী কী?
মানসিক রোগকে দুইভাগে ভাগ করা হয়। নিউরোটিক এবং সাইকোটিক। নিউরোটিক বলতে আমরা টেনশন, উদ্বেগ, প্যানিক অ্যাটাক, সূচিবাই, হিস্টিরিয়া, অস¦াভাবিক ব্যাক্তিত্ব, স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, অস্বাভাবিক রাগ বা রাগ নিয়ন্ত্রণজনিত মানসিক রোগ, ইন্টারনেট বা ঋধপবনড়ড়শ আসক্তি, যৌন সমস্যা, ঘুমের সমস্যাকেই বুঝি। এদের সংখ্যা অনেক বেশি। সাইকোসিস বা গুরুতর মানসিক রোগ, সিজোফ্রোনিয়া, বাইপলার মুড ডিসঅর্ডার এ মাত্র ১% মানুষ ভোগে।
মানসিক রোগ চিকিৎসার প্রধান বাধাগুলো কী কী?
মানসিক রোগ চিকিৎসার প্রধান বাধা হলো রোগীর পরিবারের অজ্ঞতা, সচেতনার অভাব, কুসংস্কার, মানসিক রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা, রেফারেল না হওয়া ইত্যাদি। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ মানসিক রোগকে জ্বিন ভূতের আছর মনে করে এবং ভ- পীর-ফকিরদের কাছে যায়। এতে তো রোগ ভালো হয়ই না উল্টা জটিল হয়। ভ- পীর-ফকির, কবিরাজরা প্রতারণার মাধ্যমে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়। তথাকথিত জিনের বাদশারা সত্যিই বাদশার মতো রাজত্ব করছে জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে।

লেখক : মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ মনোভূবন সেন্টার, ঢাকা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী দুঃশাসনে সমগ্র দেশ এখন জুলুমের নগরী : ফখরুল চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে অস্ত্রের সন্ধান পেল পুলিশ ইউসিবির সাথে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক চিরস্থায়ীভাবে বাকশাল করতে খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখা হয়েছে : রিজভী স্কুল-কলেজ খোলার দিনেই পরিবহন ধর্মঘটের দুর্ভোগে চট্টগ্রামের মানুষ তিন মোটরসাইকেল চালকসহ নিহত ৫ চলনবিলের ২৫ নদী ভুগছে দখল দূষণ ও নাব্যতা সঙ্কটে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়ায় মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে আর্থিক রিপোর্টিং মান অনুসরণের নির্দেশনা বীমা প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্মীপুরে নোমান-রাকিব হত্যার ১ বছরেও প্রধান আসামি জেহাদি অধরা মানিকগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ

সকল