৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বায়ার্ন যুগের অবসান, জার্মানির ফুটবলের নতুন রাজা লেভারকুসেন

বায়ার্ন যুগের অবসান, জার্মানির ফুটবলের নতুন রাজা লেভারকুসেন - ছবি : সংগৃহীত

শিরোপা উদযাপনে যেন তর সইছিল না লেভারকুসেন সমর্থকদের। মাঠে ডুকে পড়ার উপক্রম হয়েছে বেশ কয়েকবার। দর্শকরা ডুকে যাওয়ায় একটা সময় কয়েক মিনিট খেলা বন্ধও রাখতে হয়। তবে শেষ মুহূর্তে এসে আর জনস্রোত ধরে রাখা যায়নি, ৮৯ মিনিটে মাথায় সমর্থকদের ঢল নামে মাঠে। ফলে সেখানে স্থগিত করতে হয় খেলা!

এত আবেগ, এতো বাঁধ ভাঙা উছ্বাস তো হবারই কথা। লেভারকুসেন যে লিখে ফেলেছে রূপকথা, গড়েছে ইতিহাস। জন্মের পর থেকে গত ১০ যুগে যা করতে পারেনি দলটা, জিতে নিয়েছে সেই আরাধ্য শিরোপা৷ তারাই এখম জার্মানির ফুটবলের নতুন রাজা ।

রোববার জিতলেই শিরোপা, এমন সমীকরণ আগেই জানা ছিল। ফলে ঘরের মাঠে বিজয়োৎসবের প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিল সমর্থকেরা। অপেক্ষা বাড়ায়নি লেভারকুসেন।ভেরডার ব্রেমেনকে ৫–০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ৫ ম্যাচ হাতে রেখে রাজকীয়ভাবেই নিশ্চিত করে শিরোপা।

লেভারকুসেন রূপকথায় অবসান ঘটলো বায়ার্ন মিউনিখ যুগের। ফুরালো জার্মানির ফুটবল বায়ার্নের একচেটিয়া রাজত্ব। ভাটা পড়লো টানা ১১ বছরের শিরোপা উল্লাসে। রাইন নদীর তীর ঘেঁষা শহরের ছোট একটা ক্লাব বাঁধ সেধেছে তাদের আধিপত্যে। যে ক্লাব গত তিন দশকে জেতেনি একটা শিরোপাও!

লেভারকুসেনের গোল উৎসবের সূচনাটা হয় প্রথম হাফের ২৫তম মিনিটেই। পেনাল্টি থেকে দলকে লিড এনে দেন ভিক্টর বোনিফেস। এই এক গোলে লিড নিয়েই বিরতিতে যায় তারা। বিরতির পরও আক্রমণের ধার বজায় রাখে লেভারকুসেন। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে বোনিফেসের অ্যাসিস্টে গোল করেন গ্রানিত জাকা।

এরপরই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাততে শুরু করে লেভারকুসেনের সমর্থকরা। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে নিজের প্রথম ও দলের তৃতীয় গোল করেন উইর্টজ। পরের দুটি গোলও করেন তিনি। এর মাঝে ৮৩ মিনিটে উইর্টজ নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করার পরই হুড়মুড় করে মাঠে নেমে পড়েন দর্শকেরা। খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ।

সেবার খেলা শুরু করা গেলেও ৮৯তম মিনিটে উইর্টজ দলের পঞ্চম গোল করার পর আর খেলাই শুরু করা যায়নি। চারপাশের গ্যালারি থেকে দর্শকের ঢল নামে মাঠের ভেতরে। কেউ দুই হাত মেলে উড়তে শুরু করেন, কেউ পাগলের মতো চিৎকার করতে শুরু করেন, কেউ আবার নিরবে কাঁদছিলেন আপনমনে।

শিরোপা জয়ের পর এখন তাদের সামনে হাতছানি অপরাজিত থেকেই লিগ শেষ করার। রেকর্ডের পাতায় একের পর এক আঁচড় কাটা দলটা এখন পর্যন্ত আসরে ৪৩ ম্যাচ খেলেও হারেনি একটাতেও। শুধু তাই নয়, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ভেতর কেবল লেভারকুসেনই এখন পর্যন্ত অপরাজিত।

এখানেই শেষ নয়, লেভারকুসেন এখন ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন বেশ ভালোভাবেই দেখতে পারে। ডিএফবি পোকালের ফাইনালে আগামী ২৫ মে দ্বিতীয় সারির দল কাইজারস্লটার্নের মুখোমুখি হবে তারা। আর ইউরোপা লিগে খেলছে কোয়ার্টার ফাইনালে।


আরো সংবাদ



premium cement