কিলিয়ান এমবাপ্পের একমাত্র গোলে রেনেকে পরাজিত করে ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পিএসজি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ লিগ ওয়ানের আরেক দল লিঁও।
পার্ক ডি প্রিন্সেসের সেমিফাইনালে ৩৭ মিনিটে পেনাল্টি মিসের তিন মিনিট পর গোল করে দলকে জয় উপহার দেন এমবাপ্পে। স্পট কিক থেকে তার শটটি রুখে দেন রেনে গোলরক্ষক স্টিভ মানডানডা। কিন্তু তিন মিনিট পর ফরাসি অধিনায়ক আর কোনো ভুল করেননি। তার ডিফ্লেকটেড শট জালের ঠিকানা খুঁজে পায়।
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এনিয়ে চলতি মৌসুমে ৩৯তম গোল করলেন এমবাপ্পে। গত চার মৌসুমে তৃতীয়বারের মত ৪০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করা এখন তার জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এর আগে মঙ্গলবার প্রথম সেমিফাইনালে লিঁও ৩-০ গোলে দ্বিতীয় টায়ারের দল ভ্যালেন্সিয়েনেসকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। আগামী ২৫ মে লিলিতে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ফ্রেঞ্চ কাপে ১৪টি শিরোপা জয়ের রেকর্ডকে আরো সমৃদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর পিএসজি। গত দুই আসরের ফাইনালে পরাজয়ের আগে সাত মৌসুমে ছয়টি শিরোপা জয় করেছে প্যারিসের জায়ান্টরা। গত বছর টলুসের কাছে পরাজিত হবার পর ২০২২ সালে নঁতের কাছে শিরোপা হারিয়েছিল পিএসজি।
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, ‘আমি দারুণ খুশী। এবারের মৌসুমে ফ্রেঞ্চ কাপ আমাদের অন্যতম মূল লক্ষ্য। ফাইনালে জয়ী হতে পারাটা আমাদের সকলের জন্য ভিন্ন ধরনের একটি স্বস্তির বিষয়।
আগামী মাসের ফাইনাল হয়তোবা পিএসজির খেলোয়ার হিসেবে এমবাপ্পের শেষ ম্যাচ। ২৫ বছর বয়সী এই তারকা ফরোয়ার্ড ইতোমধ্যেই মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
১৮ মে শেষ হবে লিগ ওয়ান মৌসুম। ১ জুন লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। পিএসজি এখনো ইউরোপে আশা টিকিয়ে রেখেছে। আগামী সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে তাদের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা।
এই মুহূর্তে লিগ ওয়ানে ১২ পয়েন্টের ব্যবধানে পিএসজি টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। মৌসুম শেষ হতে আর মাত্র সাত ম্যাচ বাকি। ইতোমধ্যেই এ বছরের ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত হয়েছে পিএসজির। এনরিকে বলেন, ‘আমরা সবাই ক্লাবের জন্য যতটা সম্ভব শিরোপা জিততে চাই। এই মুহূর্তে আমরা সঠিক পথেই আছি। ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জয় ও পরাজয়ের মধ্যে পার্থক্যটা খুবই সামান্য। কিন্তু আমরা লিগে ভালো অবস্থানে আছি, আমরা সুপার কাপ জিতেছি। এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালো কিছু করে দেখাতে চাই।’
রেনের বিপক্ষে কাল ম্যাচটা মোটেই সহজ ছিল না পিএসজির। এক মাস আগে লিগে তারা ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। কালকের ম্যাচেও রেনে প্রতিপক্ষকে মোটেই স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি। ম্যাচ শুরুর ১২ মিনিটে এগিয়ে যাবার সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। ওসমানে ডেম্বেলের থ্রু বলে এমবাপ্পের প্রথম সুযোগের শটটি বারে লেগে ফেরত আসে। এসময় সামনে মানডানডা ছাড়া আর কোন বাঁধাই ছিল না। ৩৭ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে এমবাপ্পেকে ফাউল করে বসেন ওয়ার্মড ওমারি। কিন্তু এই সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপ্পে। এনিয়ে এবারের মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো এমবাপ্পে পেনাল্টির সুযোগ মিস করলেন। তবে ৪০ মিনিটে ফরাসি গোলরক্ষক মানডানডা আর দলকে রক্ষা করতে পারেননি। এমবাপ্পের শটে ওমারির পায়ে লেগে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি দ্বিতীয় গোল করে দলকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে পারেনি। কিন্তু সেই সুবিধাটা কাজে লাগাতে পারেনি রেনেও। ৫৬ মিনিটে তারকা ফরোয়ার্ড মার্টিন টেরিয়ার বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে এসেও রেনেকে কোনো সুখবর দিতে পারেননি।
বর্তমানে লিগ ওয়ানের অষ্টম স্থানে থাকা রেনে এখন অন্তত ইউরোপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।
সূত্র : এএফপি/বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা