২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভুটানের রাজা ওয়াংচুক চার দিনের সফরে আজ ঢাকা আসছেন

-

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিল ওয়াংচুক চার দিনের সফরে আজ সোমবার ঢাকা আসছেন। সফরকালে তিনটি সমঝোতাস্মারক (এমওইউ) সই এবং একটি চুক্তি নবায়ন করা হবে। এ ছাড়া ভারতের ওপর দিয়ে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ত্রিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে।
এমওইউগুলো হলো, বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য ১৯০ একর জায়গার ওপর বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশের উপহার হিসেবে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা চুক্তিটি নবায়ন করা হবে।
কর্মসূচি অনুযায়ী, ভুটানের রাজাকে বহনকারী বিশেষ বিমান সকাল ১০টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন। গার্ড অব অনারসহ বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভুটানের রাজা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। দুপুরে ভুটানের রাজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করবেন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাজা ওয়াংচুকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
পরদিন সকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ভুটানের রাজা সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন। বিকেলে তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সাথে বৈঠক করবেন। ভুটানের রাজার সম্মানে রাষ্ট্রপতি ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন।
বুধবার ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার তিনি কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। একই দিন রাজা ওয়াংচুক স্থলসীমান্ত পথে ভারত হয়ে ভুটানে যাবেন। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ বাংলাদেশ সীমান্তে তাকে বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজার সফরের ওপর আলোকপাত করে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভুটানে ২৫ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়। এ জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। ভুটানের পাশাপাশি একই পদ্ধতিতে নেপাল থেকেও জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশ আগ্রহী।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাজারকে অস্থিতিশীল করে পণ্যের দাম বাড়ানো। না হলে রমজানের সময় ঈদের আগে এই ডাক কেন? আর সব ভারতীয় পণ্য বাদ দিয়ে বাংলাদেশের বাজারব্যবস্থা কখনো ঠিক রাখা যাবে? তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে বিএনপির অনেকেই গত নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য লাইন দিয়েছিল; কিন্তু অনেকের হিসাব মিলেনি। সেই কারণে তারা ভিন্ন পথে হেঁটেছে। সুতরাং জয়নাল আবেদিন ফারুক সাহেব কিংবা অন্য সাহেবরা যা কিছু বলুক না কেন, কারো যখন গোমর ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, তখন এ রকম অনেকেই বলে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। আমরা একে অপরের সহযোগী। এই সহযোগিতার মাধ্যমেই আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে এই সহযোগিতা অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে। ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চাই।


আরো সংবাদ



premium cement