০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নিবন্ধন অনুযায়ী লাগবে ১.৪৫ কোটি টিকা ঘাটতি ৪৩ লাখ

গতকাল আক্রান্ত ১৭৪২ মৃত্যু ৫০
-

দেশে গতকাল বুধবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন। নিবন্ধন অনুযায়ী করোনাভাইরাসের টিকা লাগবে প্রায় মোট এক কোটি ৪৫ লাখ ডোজ। সরকারের কাছে ছিল এক কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা। সরকারের কাছে টিকার মজুদ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেয়া হয়ে গেছে ৯০ লাখ ৩০ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা। সরকারের কাছে অবশিষ্ট রয়েছে ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮০ ডোজ টিকা। নিবন্ধিত সবাইকে টিকা দিতে হলে আরো লাগবে প্রায় ৪৩ লাখ ডোজ টিকা।
এ দিকে যারা নিবন্ধন করেছেন এদের সবাইকে না দিতে পারলেও যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া যাবে না। সরকারের কাছে যে টিকা রয়েছে তা দিয়ে ৫১ লাখ মানুষকে দুই ডোজ টিকা দেয়া যাবে। অবশিষ্ট ৭ লাখ ১৯ হাজার মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার মতো টিকা সরকারের কাছে নেই। অর্থাৎ তাদের ডোজ সম্পূর্ণ করার জন্যই সরকারকে আরো ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ডোজ টিকা সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যাদেরকে টিকা দেয়া হয়েছে তাদের সবাইকে প্রথম ডোজ হিসেবে যেহেতু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হয়েছে, তাই তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ টিকাও দিতে হবে একই কোম্পানির।
টিকা ভারতের সেরাম থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় চালান হিসেবে ৭০ লাখ ডোজ টিকা সরকার পেয়েছে। অবশিষ্ট টিকা পাওয়া গেছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে। এর ফলে এখন অবশিষ্ট থাকা টিকা দিয়ে নিবন্ধিত সবাইকে টিকা দেয়া যাবে না, উপরন্তু যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের সবাইও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা এখনো পায়নি। তবে সরকার রাশিয়া ও চীন থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ও চীনের সিনোফার্মের টিকা অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এই অনুমোদনের কারণে এই দুই দেশের টিকা আনতে সহজ হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ দিকে গতকাল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আগামী ঈদের আগেই সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে চলে আসবে। কিন্তু ৫ লাখ ডোজ টিকা এলে সেগুলো অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন, তাদের কাউকেই দেয়া যাবে না। এই টিকা নতুন করে দিতে হবে।
এ দিকে রাশিয়ান স্পুটনিক-ভি টিকা আনার ব্যাপারে সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মুখপাত্র আইয়ুব হোসেন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে সব তথ্যই ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালকই বলবেন। টিকার বিষয়ে কোনো কিছু হলে মহাপরিচালক সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে থাকেন। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গতকাল রাতে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি তার ফোনটি ব্যস্ত ছিল বলে।
এ দিকে সারা দেশে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২০ হাজার ২৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে এক হাজার ৭৪২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। সারা দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে ৫০ জন। বাংলাদেশে নমুনা পরীক্ষাসাপেক্ষে করোনা শনাক্তের হার ৮.৫৯ শতাংশ। সারা দেশে এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৩ জন। করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৬৫ জন। অবশিষ্ট মানুষ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
করোনায় যারা মৃত্যুবরণ করেছে এদের মধ্যে ৩৫ জন সরকারি হাসপাতালে, ১২ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বাড়িতে থেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃতদের ৩০ জন ৬০ বছরের বেশি এবং ১৩ জন ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ছিলেন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাজশাহী জেলায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে রাজশাহী জেলায় করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৩ জনে। গতকাল বুধবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভাগের আটটি জেলায় এ পর্যন্ত ৪৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বগুড়ায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৩ জন মারা গেছেন রাজশাহীতে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২০ জন, নওগাঁয় ৩৪ জন, নাটোরে ১৭ জন, জয়পুরহাটে ১১ জন, সিরাজগঞ্জে ২৩ জন ও পাবনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ দিকে মঙ্গলবার রাজশাহী বিভাগে নতুন ১২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ দিন বিভাগের ১১১ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। বিভাগে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩২ হাজার ১৮৬ জন। এদের মধ্যে ২৮ হাজার ৫২৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চটগ্রামে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে মারা গেছেন ৩৭ জন। সর্বমোট মৃত্যু হয়েছে ৫৪৫ জন। গতকাল ৫ মে বুধবার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আটটি ল্যাবে ১০০৪ নমুনা পরীক্ষা হয়, এতে ১৪২ জনের করোনা মেলে। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৬২০ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ১১৩ জন এবং উপজেলায় ২৯ জন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জন, বিআইটিআইডিতে ১৯ জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যারে ৩৪ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৬ জন, শেভরনে ২১ জন, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে পাঁচজন, আরটিআরএলতে ১৫ জন এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার ল্যাবে পাঁচজন করোনা শনাক্ত হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
শুক্রবার দেশে আসবে মোহাম্মদ আলীর লাশ, শনিবার দাফন ইসরাইলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলো ইরান বাসায় ফেরার পর যা জানালেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ঋণ পুনঃনির্ধারণের নিয়ম মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলছে : ড. ফরাস উদ্দিন ৪ মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ বকেয়া বিল পরিশোধ নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে আগ্রহী আইএমএফ সরিষাবাড়ীতে যুবতীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিল ব্র্যাক ব্যাংক সৌদি আরবের ৮০ কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : সালমান এফ রহমান ওমরার ভিসায় হজ করা যাবে না : সৌদি কর্তৃপক্ষ

সকল