২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানার পরামর্শ ডব্লিউএইচওর

আক্রান্ত ২ কোটি ৯৭ লাখ ছাড়াল; ভারতে আক্রান্ত অর্ধকোটি ছাড়িয়েছে; মালয়েশিয়ায় করোনারোধে নতুন সিদ্ধান্ত; টিকা কূটনীতি দিয়ে বন্ধুত্ব গড়ছে চীন
-

দেশে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ট্রেডস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস।
তিনি বলেন, শিশুদের নিরাপদ রাখার দায়িত্ব কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকার বা পরিবারের নয়; এটা আমাদের সবার দায়িত্ব। এখনো ঝুঁকি কেটে যায়নি; বরং মহামারী এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। তাই শিশুদের শিক্ষা দিতে হবে কিভাবে নিরাপদ থাকবে তারা, কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে।
এ দিকে করোনা মহামারীর মধ্যে শুরু হওয়া জাতিসঙ্ঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সংস্থাটির মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও গুতেরেস ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা জাতিসঙ্ঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছি। কিন্তু চলমান করোনা মহামারীর কারণে আমরা নতুন সঙ্কটের মুখে রয়েছি। বৈশ্বিক ঐক্যের মাধ্যমে এই সঙ্কট দূর করতে হবে। খবর আনন্দবাজার, ওয়ার্ল্ডোমিটারস, বিবিসি, এবিসি নিউজ, আজকাল, ডেইলি মেইল, রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস, হিন্দুস্তান টাইমস, আলজাজিরা ও এএফপির।
ভারতে আক্রান্ত অর্ধকোটি ছাড়িয়েছে : ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৩৪। এর মধ্যে ৮২ হাজার ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরপর কয়েক দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ হাজার পেরোলেও মঙ্গলবার সেই সংখ্যাটা কিছুটা কমে হয়েছে ৮৩ হাজার ৮০৯। ভারতে কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন ৩৮ দশমিক ৫ লাখ মানুষ। সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতেই সুস্থতার হার সর্বাধিক। দেশটিতে সুস্থতার হার এখন ৭৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। মোট সংক্রমিতের সংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ এখন অ্যাক্টিভ রোগী। তাদের ৬০ শতাংশ রয়েছেন পাঁচটি রাজ্যে- মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়–। ১৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখন অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজারের কম। ভারতে প্রতি দশ লাখে সংক্রমিতের সংখ্যা তিন হাজার ৫৭৩, বিশ্বে যে হার তিন হাজার ৭০৪। ভারতে প্রতি দশ লাখে মৃত্যু হার ৫৮, বিশ্বে যা এখন ১১৮।
আক্রান্ত ২ কোটি ৯৭ লাখ ছাড়াল : দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৭ লাখ ছাড়িয়েছে। করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৯৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৬৪। এর মধ্যে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে দুই কোটি ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ লাখ ৮৮ হাজার ১৪৭। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ১৯৭ জনের। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৩৪। এর মধ্যে ৮২ হাজার ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৯৯। এর মধ্যে এক লাখ ৩৩ হাজার ২০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ২১৪। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাকে খাটো করে দেখেননি ট্রাম্প : কোভিড-১৯ মহামারীকে খাটো করে দেখার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়াতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ রিপাবলিকান নেতা উল্টো দাবি করেছেন, এ মহামারীকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছেন তিনি। অথচ ফেব্রুয়ারিতে সাংবাদিক বব উডওয়ার্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প স্বীকার করেন, জনগণের মধ্যে আতঙ্ক কমাতে করোনা পরিস্থিতির তীব্রতাকে কম করে উপস্থাপন করেছেন তিনি। ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত বিভিন্ন সমাবেশেও করোনা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করতে দেখা গেছে ট্রাম্পকে। শুধু তাই নয়, মাস্ক পরে সমাবেশ করায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনকে নিয়ে ঠাট্টা-উপহাসও করতে দেখা গেছে তাকে।
এক মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিন পাবে মার্কিনিরা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হয়তো এক মাসের মধ্যেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। করোনার এই মহামারী পরিস্থিতি নিজে নিজেই চলে যাবে। মঙ্গলবার এবিসি নিউজে প্রচারিত সমর্থকদের সাথে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে ট্রাম্প বলেন, আমরা করোনা ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার খুব কাছাকাছি আছি। তিনি বলেন, আমরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি পেয়ে যাবো আপনারা তা জানেন। হয়তো এটা তিন সপ্তাহ বা চার সপ্তাহ। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার সকালে ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, আগামী চার সপ্তাহ বা আট সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো ভ্যাকসিন চলে আসবে।
নভেম্বরে বাজারে আসছে চীনের ৪ টিকা : করোনা প্রতিরোধে চীনে অন্তত চারটি টিকার ট্রায়াল চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নভেম্বরের শুরুতেই এগুলো বাজারে আসতে পারে। গত সোমবার এ কথা জানিয়েছে চীনের রোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নিয়ামক সংস্থা সিডিসি। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চারটি টিকার মধ্যে তিনটিকে প্রথম সারির করোনা কর্মীদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। টিকাগুলোর ফেজ-৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ঠিকঠাক চলছে। সোমবার সিডিসি প্রধান গুজেন উ জানান, গত এপ্রিলে তিনি একটি পরীক্ষাধীন টিকা নিয়েছিলেন। তার শরীরে কোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দেয়নি।
সিনোভ্যাক এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সিনোফার্ম তিনটি টিকা তৈরি করেছে। অপর টিকাটি তৈরি করেছে ক্যানসিনো বায়োলজিস।
ফাইজারের টিকায় মৃদু থেকে মাঝারি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের করোনার টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে মৃদু থেকে মাঝারি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের টিকার চূড়ান্ত ধাপ বা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় যাদের পরীক্ষামূলক টিকা বা প্লেসেবো দেয়া হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মৃদু থেকে মাঝারি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ রয়েছে। ফাইজারের কর্মকর্তারা বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের মুখে বলেন, গবেষণায় অংশ নেয়া ১২ হাজার মানুষকে টিকাটির দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কাজ শেষ হয়েছে। ফাইজার তাদের টিকাটি তৈরি করছে জার্মানির জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা বায়ো এন টেকের সাথে। তাদের তৈরি পরীক্ষামূলক টিকাটি ৪৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে তা ২৯ হাজার মানুষকে দেয়া হয়ে গেছে।
মাস্ক না পরায় কবর খোঁড়ার শাস্তি ইন্দোনেশিয়ায় : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী পরিস্থিতিতিতে মাস্ক না পরায় ইন্দোনেশিয়ায় অদ্ভুত শাস্তি পেলেন কিছু মানুষ। শাস্তি হিসেবে করোনায় মৃতদের কবর খোঁড়ার শাস্তি দেয়া হয়েছে তাদেরকে। ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে মাস্ক না পরার জন্য আটজন ব্যক্তিকে কবর খোঁড়ার শাস্তি দেয়া হয়। তবে শাস্তিপ্রাপ্ত লোকেরা করোনায় মৃতদের শেষকৃত্যের কাজে অংশ নেয়নি। কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এই ধরনের শাস্তি অন্যদের মধ্যে মাস্ক না পরা ব্যক্তিদের মধ্যে ভয় তৈরি করবে। তাতে তারা মাস্ক পরতে পারেন। ইন্দোনেশিয়া করোনা সম্পর্কিত নিয়মভঙ্গকারীদের জরিমানা অথবা বিভিন্ন কাজ করার শাস্তি দিচ্ছে দেশটির সরকার।
জার্মানিতে আগামী বছরের মাঝামাঝি টিকা : জার্মান সরকার আশা করছে, আগামী বছরের শুরুর দিকে দেশটির মোট জনসংখ্যার কিছু অংশের জন্য একটি কোভিড-১৯ টিকা তারা হাতে পাবে। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সম্ভাব্য টিকা গবেষণা করার জন্য সরকার কর্তৃক ভর্তুকি দেয়ার ঘোষণাও এসেছে। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন্স স্প্যান ও গবেষণামন্ত্রী আনজা কার্লিজেক গতকাল মঙ্গলবার বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও গবেষণা মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী বছরে টিকা প্রস্তুত হয়ে যাবে। তিনটি প্রতিষ্ঠান সরকারি ভর্তুকি পাচ্ছে। তবে মন্ত্রীদ্বয় সতর্ক করেছেন, কোনো ঝুঁকিপূর্ণ সংক্ষিপ্ত পথ বেছে নেয়া যাবে না। দেশটির অধিকাংশ মানুষের কাছে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের আগে টিকা পৌঁছাবে না।
চরম দারিদ্র্যসীমার মধ্যে কোটি কোটি মানুষ : বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার মধ্যে ঢুকে পড়েছে। চলতি বছরটি নিদারুণ কষ্টের মধ্য দিয়ে পার করতে হচ্ছে। বিভিন্ন রোগ ও বৈষম্যে ভুগছে বহু পরিবার। অপুষ্টি বৃদ্ধি পেয়েছে। খুব কম শিশু টিকা পেয়েছে। বিল গেটস বলেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে নিজেদের প্রতি বেশি মনোনিবেশ করেছে। অথচ মহামারীর এ সময়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে দক্ষতা ও উদারতা উভয় ক্ষেত্রেই তাদের কি আগের ভূমিকায় ফিরে আসা উচিত নয়?
মালয়েশিয়ায় করোনারোধে নতুন সিদ্ধান্ত : চলমান মহামারী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে মালয়েশিয়ায়। সংক্রমণ রোধে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এমনটিই জানান দিলেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন। ১৫ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া ডে উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি এ কথা জানান। তিনি তার ভাষণে বলেন, মালয়েশিয়াতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলো খুলে দিতে এখনই তাড়াহুড়ো করবে না কারণ দেশে এখন প্রতিদিন কোভিড-১৯ এর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিমানবন্দর খুলে দেয়ার পরিবর্তে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে দেয়া হবে। বিশেষত অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কারণ বর্ডার দিয়ে প্রবেশকারীদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে। কোভিড-১৯ সংক্রামিত ব্যক্তিদের আগমণ রোধে জাতীয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আরো বৃদ্ধি করা হবে। বিনিয়োগ এবং আমদানি রফতানির কাজে জড়িত ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীদের ওপর কঠোর নিয়ম আরোপ ছাড়া বাকিদের মালয়েশিয়া প্রবেশ এখনো নিষিদ্ধ রয়েছে। মালয়েশিয়াতে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেলে সরকার আবারো পরিপূর্ণ লকডাউন বা এমসিও আবার ঘোষণা করবে।
ভারতকে ১০ কোটি টিকার ডোজ দেবে রাশিয়া : রাশিয়ার করোনাভাইরাস টিকা পেতে চলেছে ভারত। বুধবার রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) জানিয়েছে, ভারতে স্পুটনিক-৫ টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালে সহায়তা এবং বণ্টনের সাথে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ডক্টর রেড্ডি ল্যাবরেটরির সাথে চুক্তি করা হয়েছে। একটি বিবৃতিতে আরডিআইএফ জানিয়েছে, ‘নিয়ন্ত্রক (সংস্থার) অনুমোদনের পর ডক্টর রেড্ডিকে ১০০ মিলিয়ন টিকার (১০ কোটি) ডোজ দেবে আরডিআইএফ। করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য স্পুটনিক ৫ টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে, যা ভালো মতো গবেষণা চালানো অ্যাডেনোভাইরাল ভেক্টর প্লাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। সুরক্ষাও প্রমাণিত হয়েছে। ভারতে সফল ট্রায়াল এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বারা নথিভুক্তির ভিত্তিতে ২০২০ সালের শেষের দিকে টিকা পাঠানো শুরু হতে পারে।
মহামারীতে নিহতদের অভিনব উপায়ে স্মরণ : চলতি মহামারীতে মৃত ব্যক্তিদের অভিনব কায়দায় স্মরণ করছেন চীনের শানদং অঞ্চলের এক তাও যাজক। মহামারীতে সেই অঞ্চলের যারা মারা গেছেন, তাদের স্মৃতি রক্ষায় এক অভিনব পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন। শানদং অঞ্চলের একটি তাও মঠে গেলে দেখা যাবে সারি সারি স্মৃতিফলক। মোট ৫৫৮টি স্মৃতিফলকের ওপর লেখা আছে মৃতের নাম ও জন্মস্থান। এভাবেই মহামারীতে নিহতদের মনে রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন তাও যাজক লিয়াং শিংইয়াং। তিনি বলেন, মানুষের প্রকৃত মৃত্যু তখন হয়, যখন গোটা বিশ্ব তাকে ভুলে যায়। আমার মতে, ধর্মবিশ্বাস যা-ই হোক না কেন, সবার আত্মাই স্মরণ করার যোগ্য।
টিকা কূটনীতি দিয়ে বন্ধুত্ব গড়ছে চীন : চীন যে দেশগুলোকে নিজের স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে, তাদেরই কাছে টানার চেষ্টা করছে টিকা কূটনীতি দিয়ে। চীনে উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা দ্রুত পেয়ে যাবে ফিলিপাইন। লাতিন আমেরিকা আর ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলো টিকা কিনতে ঋণ পাবে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ পাবে চীনা কোম্পানির উদ্ভাবিত টিকার এক লাখ ডোজ বিনামূল্যে। গত সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন করে আশ্বস্ত করেন, জাকার্তার করোনার টিকার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও বেইজিং গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। চীনে উদ্ভাবিত করোনার দু’টি সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষা চলছে পাকিস্তানে। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেছিয়াং গত মাসে থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। আলোচনায় তিনি চীনা টিকা সরবরাহের প্রস্তাব করেন, যা ওই দেশগুলো বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। গত জুনে আফ্রিকার দেশগুলোর নেতাদের সাথে এক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, চীনে কোভিড ১৯ এর টিকা উদ্ভাবন ও সরবরাহ সম্পন্ন হওয়ামাত্র আফ্রিকার দেশগুলো টিকার সুবিধাভোগী হওয়া দেশগুলোর প্রথম সারিতে থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement