৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আরো প্রাদুর্ভাবের শঙ্কা, এক দিনে মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াল ভারত

১১ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের নির্দেশ; নব্য দরিদ্রে পরিণত মধ্যবিত্ত শ্রেণী; করোনার কারণে বেড়ে গেছে সহিংসতা; এক দিনে মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াল ভারত
-

কোভিড-১৯ এর মতো রোগের উদ্ভবের জন্য প্রাণিজ প্রোটিনের উচ্চ চাহিদা, কৃষির অপরিবর্তনীয় ধরন ও জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা। প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে (জুনোটিক) রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা বাড়ছে আর বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষিত রাখার পদক্ষেপ না নেয়া হলে তা চলতে থাকবে বলে সতর্ক করেছেন তারা।
জাতিসঙ্ঘ পরিবেশ কর্মসূচি ও আন্তর্জাতিক প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ এ দুই বছরে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি ৯ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হয়েছে। অবহেলিত জুনোটিক রোগে এক বছরে ২০ লাখ মানুষ মারা যায় বলে জানিয়েছেন তারা। ইবোলা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ও সার্স-ও জুনোটিক রোগ। এই রোগগুলো প্রাণীদের মধ্যে শুরু হয়ে পরে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।
জাতিসঙ্ঘ পরিবেশ কর্মসূচির আন্ডার- সেক্রেটরি জেনারেল ও নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গর আনাসন বলেন, ‘গত শতাব্দীতে আমরা নোভেল করোনাভাইরাসের অন্তত ছয়টি বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব দেখেছি। গত দুই দশকে এবং কোভিড-১৯ এর আগে জুনোটিক রোগের কারণে ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। অ্যানথ্রাক্স, বোভাইন টিউবারকুলোসিস ও জলাতঙ্কের মতো স্থানীয় জুনোটিক রোগগুলোতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে প্রতি বছর ২০ লাখ লোক মারা যায়। এগুলো প্রায়ই জটিল উন্নয়ন সমস্যাযুক্ত, গবাদিপশুর ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল ও বন্যজীবের সান্নিধ্যে থাকা সমাজগুলোতেই ঘটেছে।’
গত ৫০ বছরে বিশ্বজুড়ে মাংস উৎপাদন ২৬০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়ে আনাসন বলেন, ‘বনের জায়গা দখল করে আমরা কৃষির সম্প্রসারণ ঘটিয়েছি, অবকাঠামো গড়ে তুলেছি ও খনিজসম্পদ আহরণ করেছি। মানুষের ২৫ শতাংশ সংক্রামক রোগের সাথে বাঁধ, সেচ ও শিল্পভিত্তিক খামারগুলোর যোগ আছে। ভ্রমণ, পরিবহন ও খাদ্যের সাপ্লাই চেইনগুলো সীমান্ত ও দূরত্ব মুছে দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।’ খবর টাইম, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, এবিসি নিউজ, গ্লোবাল নিউজ, এএফপি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, সিএনবিসি, আল জাজিরা, রয়টার্স, কুয়েত টাইমস, মিরর, বিবিসি, সিএনএন, সানডে টাইমস, ডয়েচে ভেলে, নিউজ এইটটিন ওয়ার্ল্ডোমিটারস, এনডিটিভি ও ওয়াশিংটন পোস্টের।
এক দিনে মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াল ভারত : করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে আসা ভারতে সোমবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ২৭১ জনের। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ১৮৪ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৫ জন। টানা পাঁচ দিনে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। গত সপ্তাহে মৃত্যুর হার ছিল ৩ শতাংশ; তা কমে ২.৮ শতাংশে ঠেকেছে। দেশটিতে প্রতি দশ হাজারে মৃত্যুহার এখন শূন্য দশমিক ১৫, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ৩ দশমিক ৯৭, যুক্তরাজ্যে ৬ দশমিক ৬৫। গত ৩০ জানুয়ারি কেরালায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১১০ দিন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক থেকে দুই লাখে পৌঁছায় মাত্র ১৫ দিনে। এরপর দুই থেকে তিন লাখে ১০ দিনে, তিন থেকে চার লাখে ৮ দিনে, চার থেকে পাঁচ লাখে ৬ দিন, পাঁচ থেকে ছয় লাখে পৌঁছাতে ৫ দিন সময় লাগে। শেষ এক লাখ যোগ হতেও মাত্র ৫ দিনই সময় লেগেছে।
আফ্রিকায় দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা : আফ্রিকায় মহামারী করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আফ্রিকা মহাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ হতে প্রথমে ১০০ দিন সময় লাগে। পরে ১৮ দিনের ব্যবধানে তা দুই লাখ ছাড়ায়। পরের ২০ দিনে এ সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। ডব্লিউএইচওর মতে, আফ্রিকার বেশির ভাগ দেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা আর সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে মিসরে। দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই লাখ পাঁচ হাজার ৭২১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৩১০ জনের। সুস্থ হতে পেরেছে ৯৭ হাজার ৮৪৮ জন। মিসরে আক্রান্ত ৭৬ হাজার ২২২ জনের মধ্যে তিন হাজার ৪২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আফ্রিকার পাঁচ দেশে মৃত্যুহার বৈশ্বিক ৫ শতাংশ মৃত্যুহারের চেয়ে বেশি। শাদে করোনায় আক্রান্তদের সাড়ে ৮ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। আলজেরিয়ায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, নাইজারে ৬ দশমিক ২, বুরকিনা ফাসোতে ৫ দশমিক ৫ এবং মালিতে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ করোনায় আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে।
ব্রাজিলে মৃত্যু ৬৫ হাজার ছাড়াল : ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছেই। দেশটিতে ইতোমধ্যেই ৬৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৫ হাজার ৪৮৭ জন। নতুন করে এক দিনেই আরো ২০ হাজার ২২৯ জন প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ২৩ হাজার ২৮৪। দেশটির রিও ডে জেনেইরো রাজ্যে বার, রেস্টুরেন্ট আবার চালু করার পর থেকেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ওই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রিও ডে জেনেইরোতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ৮৭৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনেই আক্রান্ত অর্ধলাখ : যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশি নাকানি-চুবানি খাওয়াচ্ছে কোভিড-১৯। আক্রান্তের দিক দিয়ে দেশটি শীর্ষে তো রয়েছেই, এখন সর্বোচ্চ আক্রান্তও হচ্ছে এই দেশটিতে। প্রতিদিনই নতুন করে ৪০ হাজারের ঘরে আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়। তবে এবার এক দিনেই আক্রান্ত অর্ধলাখ ছাড়াল। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৫০ হাজার ৫৮৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন এক লাখ ৩২ হাজার ৯৭৯ জন। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ রাজ্যে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী : যুক্তরাষ্ট্রে পরপর কয়েক দিন ধরেই করোনা সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ৩২টিতে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। গত সপ্তাহের সংক্রমণ বিবেচেনায় এই তালিকায় নাম ওঠা রাজ্যগুলো হলোÑ অ্যালাবামা, আলাস্কা, অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ডেলওয়ারে, ফ্লোরিডা, হাওয়াই, জর্জিয়া, ইডাহো, ইলিনয়, ইন্ডিয়ানা, আইওয়া, কানসাস, লুজিয়ানা, ম্যারিল্যান্ড ও মিশিগান। সংক্রমণ বৃদ্ধির তালিকায় আরও রয়েছে মিশিগান, মিসৌরি, মন্টানা, নেভাদা, নিউ মেক্সিকো, নর্থ ক্যারোলিনা, নর্থ ডাকোটা, ওহাইও, ওকলাহোমা, ওরেগন, সাউথ ক্যালিফোর্নিয়া, পেনিসেলভেনিয়া, টেনেসি, টেক্সাস, ওয়াশিংটন, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এবং উইসকনসিন। ১৪টিতে সংক্রমণ একইরকম, কমেছে মাত্র চারটিতে।
দ্বিতীয় দফা সংক্রমণে বিধ্বস্ত দক্ষিণ কোরিয়া : করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের হার না কমলে আবার কড়া লকডাউনের দিকে যেতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। আগামী তিন দিনের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার গড়ে ত্রিশের কম না থাকলে লকডাউন শুরু হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিউলের মেয়র পার্ক উওন-সুন। দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ ক্রমেই চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন মেয়র পার্ক উওন-সুন। সোমবার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘যদি সিউল আবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তার মানে হচ্ছে গোটা কোরিয়ার আক্রান্ত হওয়া। করোনভাইরাসের সংক্রমণ এই হারে চললে আগামী এক মাসের মধ্যে দৈনিক ৮০০টি নতুন সংক্রমণ দেখতে হবে কোরিয়াতে।’
৭ বছর আগেই করোনার মতো এক ভাইরাস : সারা বিশ্বে যখন কাঁপছে করোনা আতঙ্কে তখনই সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। উহানের বায়োসেফটি ল্যাবরেটরিতে সাত বছর আগেই করোনাভাইরাসের মতো ভাইরাল স্ট্রেন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরিত্যক্ত খনি থেকে বাদুড়ের শরীরের নমুনা পৌঁছে দেয়া হয়েছিল বায়োসেফটি ল্যাবে। সেই ভাইরাল স্ট্রেন নিয়ে গবেষণাও চলছিল। এর জের ধরেই করোনা রাসায়নিক মারণাস্ত্র কি না সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহলে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বায়োসেফটি লেভেল-৩ ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়েছিল এই ভাইরাস। অভিযোগ উঠেছিল, রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা হচ্ছিল বায়সেফটি ল্যাবে, সেখান থেকেই কোনোভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস। করোনা বিপর্যয়ের এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসের উৎসের প্রসঙ্গ কিছুটা আড়ালে চলে গেলেও ফের সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
নাগরিকদেরও ঢুকতে বাধা নিউজিল্যান্ডে : নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ দেশটির নাগরিকদের একটি অংশকে দেশে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের যেসব নাগরিক বিভিন্ন দেশে থাকেন, তারা সেসব দেশ থেকে এ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন না। মঙ্গলবার থেকে আগামী তিন সপ্তাহের জন্য তারা নিউজিল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন না। এর কারণ হিসেবে দেশটির সরকার সীমিত কোয়ারেন্টিন সুবিধার কথা উল্লেখ করেছে। গত ৬৭ দিনে নিউজিল্যান্ডে স্থানীয় পর্যায়ে কোনো নতুন রোগী ধরা পড়েনি। কিন্তু নতুন ২২ জন রোগী বাইরে থেকে এসেছেন। তারা সবাই এমন কোনো দেশ থেকে নিউজিল্যান্ড এসেছেন, যেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে।
নব্য দরিদ্রে পরিণত মধ্যবিত্ত শ্রেণী : নোভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে মাত্র তিন মাসেই চিলির মধ্যবিত্তদের বড় একটি অংশ এখন দরিদ্রে পরিণত হয়েছে। উচ্চমাত্রায় ঋণ ও পর্যাপ্ত রাষ্ট্রীয় সহায়তার অভাবে চিলির মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বড় একটি অংশ ভাইরাসের সংক্রমণজনিত প্রভাবে মারাত্মক আর্থসামাজিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেন্টার ফর সোস্যাল কনফ্লিক্ট অ্যান্ড কোহেসন স্টাডিজের (সিওইএস) সহকারী ব্যবস্থাপক ও চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দান্তে কন্ত্রেরাস বলেন, চিলির সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশই এখন শুধু নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে এরই মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৯ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। চিলিতে পারিবারিক আয়ের ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় তারতম্য দেখা যাচ্ছে। কোনো পরিবার দরিদ্রাবস্থা কাটিয়ে উঠছে, আবার অনেক পরিবার আবার দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। আর এ অস্থির ভঙ্গুর অবস্থার কারণে পরিবারগুলোর পক্ষে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কাতারে আক্রান্ত লাখ ছাড়াল : করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে কাতারে। সোমবার দেশটিতে নতুন করে ৫৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৫ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৩৪৫ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ১৩৩ জন। কাতারে ২ কোটি ৮ লাখ লোকের বাস। তার মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ কাতারি। মূলত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি নিম্ন আয়ের প্রবাসী কর্মজীবী শ্রেণীর মধ্যে। যারা জনাকীর্ণ কোয়ার্টারে বসবাস করেন। গালফ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে কাতারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।
সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত ৪৪৯৮৩ জন : সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল আরো ২৭৬ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪০৭১৭ জন। নতুন করে ১৮৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪৯৮৩ জন। সোমবার আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জন সিঙ্গাপুরিয়ান, ৩ জন বিদেশফেরত ও ২০ জন ওয়ার্কপাস হোল্ডার রয়েছেন যারা ডরমেটরির বাইরে বাস করেন। বাকি ১৫৭ জন ওয়ার্কপাস হোল্ডার যারা ডরমেটরিতে থাকেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০৮ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর।
করোনায় বেড়ে গেছে সহিংসতা : নিউ ইয়র্কে সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য করোনাভাইরাসকে দায়ী করেছেন নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও। নগরীতে একের পর এক সহিংস ঘটনার পর মেয়র ব্লাজিও ৬ জুলাই এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সপ্তাহজুড়ে সহিংসতায় নিউ ইয়র্কে ১১ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মেয়র বলেন, ‘বহু লোক এ সময়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের জন্য বাইরে ছিল। অনেক সহিংসতা হয়েছে। এসব সহিংসতার সাথে করোনাভাইরাসের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আমরা গুরুতর সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। নিউ ইয়র্কের আবহাওয়া উষ্ণ হচ্ছে, মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। দেশের অর্থনীতি এখনো চালু হয়নি। গৃহবন্দিত্বের প্রতিক্রিয়া এখন এভাবে দেখা যাচ্ছে।’
করোনা টেস্ট করালেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট : শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসের বেশ কিছু উপসর্গ থাকায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো আবারো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েছেন। সোমবার সরকারি বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া সমর্থকদের তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের শরীরে জ্বর থাকার কারণে সোমবার তিনি করোনা টেস্ট করান। ফুসফুসও টেস্ট করান। এরপর প্রেসিডেন্ট প্যালেসের বাইরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই মাত্র হাসপাতাল থেকে ফিরলাম। আমি করোনা টেস্ট করিয়েছি। ফুসফুস টেস্ট করিয়েছি। আমার ফুসফুস পরিষ্কার। কিছুক্ষণ আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সব ঠিক আছে।
১১ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের নির্দেশ : করোনাভাইরাসের আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটিগুলোতে ১১ লক্ষাধিক বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীকে অবিলম্বে নিজ নিজ দেশে চলে যাওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। ৬ জুলাইয়ের যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন দফতরের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ তথা আইস এ নির্দেশ জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরতরা এ নির্দেশ অমান্য করলে তাদেরকে গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে হবে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী গ্রেফতারের পর সবাইকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। করোনার কারণে প্রতিটি ইউনিভার্সিটির ক্লাস অনলাইনে করা হবে। তাই সশরীরে ক্লাসে থাকার কোনোই প্রয়োজন নেই। আইসের এই পদক্ষেপের ভিকটিম হবেন নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীসহ যারা স্বল্পমেয়াদি ট্রেনিং কোর্স (নন-অ্যাকাডেমিক অথবা ভোকেশনাল) নিতে এসেছেন তারাও।


আরো সংবাদ



premium cement
ধরপাকড়ের মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ অব্যাহত যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে ৩ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা নিহত ফিলিপাইনের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি, বাড়তে পারে আরো শিখ নেতা পান্নুনকে খুন করতে ‘হিটম্যান’ পাঠিয়েছিলেন ‘র অফিসার’ : ওয়াশিংটন পোস্ট দিল্লিকে উড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে কেকেআর করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার বাইডেনকে পিছনে ফেলে দিলেন ট্রাম্প ইউরোপের ‘গাজা’ যুদ্ধ আসছে শয়তানবাদ! পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফের উত্থান ও করণীয় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির কর্মীকে বেদম প্রহার সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের

সকল