পূর্ব পাকিস্তানের আকাশ যৌথবাহিনীর দখলে। বঙ্গোপসাগরেও অবরোধ সৃষ্টি করে ভারতীয় নৌবাহিনী। স্থলভাগে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর হামলা। পাশাপাশি সব গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে চলছে বিমান হামলা। যৌথ বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণে খুলনা, চালনা, মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। নিরুপায় অবরুদ্ধ পাকিস্তান বাহিনী। সামনে আগানো বা পেছনে ফেরার কোনো পথ নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে ঘেরাও হয়ে আছে পাকিস্তান বাহিনী। পাকিস্তানের পরাজয় চারদিক থেকে ঘনীভূত হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় লে. জে. নিয়াজি পুশ-ব্যাকের নির্দেশ দেন পাকিস্তান বাহিনীকে। অনিবার্যভাবে শুরু হয় আত্মসমর্পণের পালা। অবরুদ্ধ সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তুমুল যুদ্ধ চলে ১৯৭১ সালের আজকের দিনে। লালমনিরহাট, চৌগাছা ও চুয়াডাঙ্গার অনেক এলাকাসহ একের পর এক দখলমুক্ত হতে থাকে বিভিন্ন এলাকা। চারদিকে বিজয়ের রব উঠতে শুরু করে। পরাজয়ের চিত্র স্পষ্ট হতে থাকে পাকিস্তান বাহিনীর সামনে।
অন্যদিকে ১৯৭১ সালের আজকের দিনে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ভারতের এ স্বীকৃতি মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধকে আরো বেগবান করে। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ কর্তৃক ভারত সরকারকে অনুরোধের সাথে সাথে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
সকালে লোকসভার অধিবেশনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘অবর্ণনীয় বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনগণ বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে। শুধু ভাবাবেগে পরিচালিত হয়ে আমরা স্বীকৃতি দানের সিদ্ধান্তে উপনীত হইনি। বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে বিচার করেই স্বীকৃতি দিচ্ছি। ...নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সংগ্রামরত বাংলাদেশের জনগণ এবং পশ্চিম পাকিস্তানি হামলা প্রতিহত করার জন্য জীবনপণ সংগ্রামরত ভারতের জনগণ আজ একই লক্ষ্যের ও একই পথের পথিক’।
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভা তাদের সরকারকে অনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা