১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


মানহানির দুই মামলায় খালেদার জামিন আবেদনের শুনানি ঈদের পর

-

কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদনের শুনানি হয়নি। গতকাল বুধবার বেলা ২টায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানির কথা থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনে আদালত ঈদের পর আগামী ১৭ জুন শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমম্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বুধবার বেলা ২টায় খালেদা জিয়ার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ ও এ জে মোহাম্মদ আলী মানহানির দুই মামলায় জামিন আবেদন করেন। এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান আদালতে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অসুস্থ, আবেদনটির শুনানি নট দিস উইক (এ সপ্তাহে নয়) করেন। এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অন্য মামলা করছেন। তিনি অসুস্থ নন। তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তিনি ব্যস্ত আছেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এর তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, এটা জামিনযোগ্য মামলা। আপিল বিভাগের গাইডলাইন আছে জামিনযোগ্য মামলায় জামিন দিতে হবে। এখানে অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতি মুখ্য নয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, জামিল আক্তার এলাহী, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আবেদ রাজা মাসুদ রানা প্রমুখ।
আদালত থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারাগারে রাখা হয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া তাকে বের করা যাবে না। যার প্রমাণ গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেলের সময় আবেদনে জামিন আবেদনের শুনানি করা যায়নি। তিনি বলেন, আমরা দুঃখিত, উচ্চ আদালতের এ ধরনের সিদ্ধান্তে আমরা লজ্জিত। তিনি বলেন, আমরা আদালতে বলেছি, মানহানির মামলা জামিনযোগ্য। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত আছে জামিনযোগ্য মামলায় জামিন প্রার্থনা করলে জামিন দিতে হবে; কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেলের অসুস্থতার কথা বলে সময় নেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, বেগম খালেদা জিয়া একটি মামলায় কারাগারে আছেন তা জেনেশুনেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখাচ্ছে না। আর আমরা আবেদন করার পরও আমাদের আবেদন গ্রহণ করছে না। আবেদন করলেও বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন দিচ্ছে না। সেই কারণে এই বেআইনি আদেশগুলো উপস্থাপন করে আমরা হাইকোর্টে জামিন চেয়েছি। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় একই রকম আচরণ করেছেন নি¤œ আদালত; যে কারণে আমরা সেই বিষয়গুলো উপস্থাপন করে হাইকোর্টে আবেদন করেছি এবং হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। এবারো খালেদা জিয়ার এই দু’টি মামলায় সেই একই রকম আচরণ নি¤œ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ করছে। যে কারণে আমাদের উচ্চ আদালতে যাওয়া ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। বেগম খালেদা জিয়ার এ দুই মামলায় অন্যায়ভাবে ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাকে গ্রেফতারও দেখাচ্ছে না এবং তাকে প্রোডাকশন দিয়ে আদালতে আনছে না, আইনজীবীদের আবেদনের পরও। একটি হলো খালেদা জিয়ার মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ এবং অপরটি হলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ। ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে কম্বোডিয়ায় দু’টি চীনা যুদ্ধজাহাজ, উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন হাতিয়ায় হরিণের গোশত জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড আশুগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অটোরিকশা চালকের মৃত্যু রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার দ্রুত চাপে পড়বে : প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা মহাদেবপুরে বাসচাপায় মাদরাসাছাত্র নিহত কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি শান্ত হলেও উদ্বেগজনক সারা দেশে টানা ৩ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দাগনভূঞায় অগ্নিদগ্ধ পরিবারের মাঝে জামায়াতের উদ্যোগে গৃহ নির্মাণ উদ্বোধন ২৫ মে বঙ্গবাজার বিপণিবিতান নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী এখনো নিখোঁজ প্রেসিডেন্ট রাইসি : অনুসন্ধানে ৪০ দল

সকল