৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাজনীতিকদের দমন পীড়নের সমালোচনায় ইইউ পার্লামেন্ট

-

বাংলাদেশের অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যম, শিক্ষার্থী, মানবাধিকার কর্মী ও বিরোধী রাজনীতিকদের ওপর চলমান দমন-পীড়নের কঠোর সমালোচনা করেছে তারা।
ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গে গতকাল বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিতর্ক শেষে নেয়া প্রস্তাবে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবে সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান ও আইনজীবী মীর আহমেদ বিন কাশেমের গুমের ঘটনাসহ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বিতর্কে সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে।
প্রস্তাবে মিয়ানমারে নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে। একই সাথে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এতে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও মর্যাদাসম্পন্ন প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটাভুটিতে পাস হওয়া এ প্রস্তাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক ও ত্রাণসহায়তা জোরদার করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বিতর্কে অংশ নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ডেলিগেশন প্রধান জ্যঁ লিমবার্ড বলেন, তৈরী পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার অক্ষুণœ রাখার জন্য ইউরোপীয় ক্রেতাদের সংগঠন অ্যাকর্ডের দেয়া সুপারিশের পূর্ণ সুবিধা বাংলাদেশ না নেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সন্ত্রাসবাদের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্সনীতি মানবাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। বাংলাদেশে অব্যাহত গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং কঠোর আইন প্রণয়নের বর্তমান ধারায় আমি উদ্বিগ্ন।
জ্যঁ লিমবার্ড সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা প্রকাশ করেন, যাতে বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকবে।
নাগরিকসমাজের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে সুইডেনের সুরাইয়া পোস্ট বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে আটক সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ছাত্রদের মুক্তি দিতে হবে।
তিনি জাতিসঙ্ঘের অভিমত ও রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মিয়ানমারে ফেরত না পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় প্রখ্যাত ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমকে আটকের বিষয়টি উল্লেখ করেন নেদারল্যান্ডের মারিটজি। তিনি বলেন, এটি বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী। তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ করতে হবে। দুঃখজনকভাবে শহিদুল আলমই বাংলাদেশের একমাত্র নিপীড়িত ব্যক্তি নন। হয়রানি, আটক ও গুমের পদ্ধতি বাংলাদেশে চালু রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পেতে পারে কি না তা যাচাই করার আহ্বান জানিয়ে মারিটজি বলেন, মানবাধিকারের জন্য জবাবদিহিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তা সমুন্নত রাখতে আমাদের সম্ভব সব কিছু করা প্রয়োজন।
চেক রিপাবলিকের টমাস বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না। সেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অপব্যবহার হচ্ছে। মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা সরকারের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হওয়ার জন্যই বাংলাদেশে গুমের মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন চেক রিপাবলিকের অপর রাজনীতিক হেটম্যান।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপদাহে বামনায় সহকারী অধ্যাপকসহ ৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ জবিতে ৪ দিন স্বশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা, ১ দিন অনলাইনে মার্কিন পুলিশে বাড়ছে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতদের সংখ্যা পাথরঘাটায় ৩ দিন ধরে মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ মির্জাগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু আফগানিস্তানে মসজিদে বন্দুক হামলা, নিহত ৬ দেশের বেসরকারি সৌর প্রকল্পে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন এডিবির কটিয়াদীতে কালের সাক্ষী ৫০০ বছরের কোটামন দিঘি সখীপুরে ৩০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ স্কুল-মাদরাসার ছুটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বহাল থাকছে রাজবাড়ীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

সকল