২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে সাউথ আফ্রিকা

রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে সাউথ আফ্রিকা। - ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে সাউথ আফ্রিকার।

গত ডিসেম্বরে রাশিয়ার পতাকা লাগানো একটি জাহাজ সাউথ আফ্রিকার বন্দরে এসে দাঁড়ায়। তাতে অস্ত্র মজুত করে দেয় সাউথ আফ্রিকা। এরপর জাহাজটি রাশিয়ার দিকে রওনা হয়। এমনই অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে সাউথ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাউথ আফ্রিকা এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সাউথ আফ্রিকা কোনো পক্ষ নেয়নি। বরং তারা মধ্যবর্তী অবস্থান নিয়েছে। কোনো পক্ষকেই ভোট দেয়নি। কিন্তু তারা গোপনে রাশিয়াকে সমর্থন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবং এ কারণেই সম্পূর্ণ গোপনে তারা রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, গত ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সাউথ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় নৌ-ঘাঁটি সাইমন টাউনে রাশিয়ার পতাকা লাগানো একটি জাহাজ এসে দাঁড়ায়। অথচ জাহাজটির সেখানে দাঁড়ানোর কথা নয়। কারণ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সাউথ আফ্রিকা ট্রাকে করে অস্ত্র নিয়ে ওই জাহাজে ভর্তি করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কাউন্টার অফেনসিভ বা পাল্টা আক্রমণের পথে এখনই যাচ্ছে না ইউক্রেনের সেনা। তবে তার প্রস্তুতি চলছে।

ইউক্রেনের যত জমি রাশিয়া দখল করে রেখেছে, তার পুরোটাই পুনর্দখল করা হবে বলে ওই দিন জানিয়েছেন জেলেনস্কি। কিন্তু এখনই পাল্টা আক্রমণে যাওয়া সম্ভব নয় বলে তার অভিমত।

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আরো বেশ কিছু অস্ত্র প্রয়োজন, আর্মার্ড ভেহিক্যাল প্রয়োজন। সেগুলো ছাড়া পাল্টা আক্রমণে গেলে প্রচুর সেনার মৃত্যু হবে, যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

অন্য এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবাও একই কথা বলেছেন। তবে কুলেবা জানিয়েছেন, পাল্টা আক্রমণ হবেই। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত একবছরে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ মিলেছে।

পাশ্চাত্যের দেশগুলো জানিয়েছে, প্রয়োজনে আরো সাহায্য করা হবে ইউক্রেনকে। পাশাপাশি রাশিয়াকে আবার যুদ্ধ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, পাল্টা আক্রমণের প্রসঙ্গ তুলে জেলেনস্কি কি ক্রাইমিয়াও পুনর্দখলের কথা বলছেন? সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি অবশ্য এ বিষয়টি স্পষ্ট করেননি।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement