০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জনরোষের মুখে জর্জিয়া সরকারের নতি স্বীকার

জনরোষের মুখে জর্জিয়া সরকারের নতি স্বীকার। - ছবি : ডয়চে ভেলে

রাশিয়ার আদলে ভিন্নমত দমন করতে ‘স্বৈরাচারী' আইন প্রণয়নের বিরুদ্ধে জর্জিয়ায় তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পর সরকার আইনের খসড়া প্রত্যাহার করে নিয়েছে৷

শুধু ইউক্রেন নয়, সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র জর্জিয়াও এবার সঙ্কটের মুখে৷ তবে বাইরে থেকে হামলা নয়, বরং সরকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে ঘিরে গণবিক্ষোভ সে দেশে অস্থিরতার কারণ৷ ঠিক যেন রাশিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জর্জিয়ার সরকার মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ৷ তাদের আশঙ্কা ইউরোপীয় মূল্যবোধের দিকে এগোনোর বদলে সরকার স্বৈরাচার ও রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ মেনে নেবার পথে এগোচ্ছে৷

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে রাশিয়ার হামলার জের ধরে জর্জিয়ার দুটি অঞ্চল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় জর্জিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মস্কোর বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখিয়ে আসছে৷

জর্জিয়ার সরকার সংসদে এমন এক আইন পেশ করেছিল, যার আওতায় কোনো সংগঠন বিদেশ থেকে ২০ শতাংশের বেশি অর্থ পেলে সেটিকে ‘বিদেশী এজেন্ট' হিসেবে সরকারের কাছে নথিভুক্ত করতে হবে৷ না করলে মোটা অঙ্কের ফাইন দিতে হবে৷ এমন উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল৷ রাজধানী টিবিলিসিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ ভাঙার চেষ্টা করেছে৷ তবে মঙ্গলবারের মতো বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা বা পাথর ছোড়েনি৷ এ দিন ৭৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷

বুধবার সন্ধ্যায় হাজার হাজার মানুষ সংসদ ভবনের সামনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউক্রেনের পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখান৷ তাদের স্লোগান ছিল ‘রাশিয়ার আইন, আমরা মানবো না'৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের পতাকা ওড়ানোর জন্য জর্জিয়ার মানুষের প্রতি ধন্যবাদ জানান৷ ইউক্রেনের সাথে জর্জিয়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷

প্রবল জনরোষের মুখে জর্জিয়ার সরকার বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে বিতর্কিত আইনের খসড়া প্রত্যাহার করে নিয়েছে৷ ক্ষমতাসীন ‘জর্জিয়ান ড্রিম' পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে এই আইনের ফলে সমাজে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে৷ এ কারণে এই আইনের খসড়া প্রত্যাহার করা হচ্ছে৷

এর আগে ক্ষমতাসীন দল স্বৈরাচারী পদক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছিল৷ তাদের মতে, ১৯৩০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদিত এক আইনের আদলে জর্জিয়ার আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছিল৷ দলের সভাপতি ইরাকলি কোবাখিডজে বলেছিলেন, দেশ ও দেশের শক্তিশালী অর্থোডক্স গির্জার স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে, তাদের নির্মূল করতে এই আইন সহায়ক হবে৷ তিনি দেশের ‘ব়্যাডিকাল' বিরোধী পক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ করেন৷ কিন্তু বিরোধীদের ধারণা, এমন আইন কার্যকর হলে জর্জিয়ায় এনজিও ও সংবাদ মাধ্যমের একটা অংশ সরকারের রোষের মুখে অসহায় হয়ে পড়বে৷

জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিচভিলিও শুরু থেকে এই আইনের বিরোধিতা করে এসেছেন৷ তার মতে, ভিন্নমত দমন করতে রাশিয়া ঠিক এমনই আইন কার্যকর করেছে৷ এমন উদ্যোগ ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের সুযোগের ক্ষতি করবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন৷ সিএনএন-এ এক সাক্ষাৎকারে তিনি কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, তার দেশও রাশিয়ার হামলার শিকার হয়েছে৷

জুরাবিচভিলি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া হেরে যাচ্ছে৷ তবে সে দেশ সহজে জর্জিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ছেড়ে দেবে না৷ বিতর্কিত আইনের খসড়া তার কাছে এলে তিনি ভেটো শক্তি প্রয়োগের অঙ্গীকার করেন৷

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু জ্বলছে সুন্দরবন, রাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে আরো কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস, রাতে আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে সুন্দরবনের আগুন রামুতে ৬০ লাখ টাকার ইয়াবাসহ ২ কারবারী আটক ৪০ ডিগ্রির নিচে নামল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তিন দিন ৩ ঘণ্টা করে শাহজালালে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা ‘২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করবে পোশাক শিল্প’ প্যারিসে গুলিতে একজন নিহত, বেশ ক’জন আহত ভৌগোলিক কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ : হাই কমিশনার গাজীপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বিদায় নিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী

সকল