০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ট্যাঙ্কের পর কি যুদ্ধবিমান পাবে ইউক্রেন?

ট্যাঙ্কের পর কি যুদ্ধবিমান পাবে ইউক্রেন? -

প্রথমে না বলেও এখন ইউক্রনকে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক দিচ্ছে ন্যাটো দেশগুলো। এবার কি তারা যুদ্ধবিমানও দেবে?

প্রথমে দ্বিধান্বিত ছিল জার্মানি। পরে তারা অত্যাধুনিক লিওপার্ড-২ ট্যাঙ্ক পাঠাতে রাজি হয়েছে। পোল্যান্ডও তাদের কাছে থাকা লিওপার্ড-২ ট্যাঙ্ক কিয়েভকে দিতে চেয়েছে। এই ট্যাঙ্ক পাবার পরই ইউক্রেন এখন অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চাচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ বলেছেন, অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পাবার বিষয়ে তারা আশাবাদী। ন্যাটো শরিকদের কাছ থেকে এই যুদ্ধবিমান পেলে তা গেমচেঞ্জার হবে বলে তার দাবি।

কোন যুদ্ধবিমান কতগুলো তারা চাইছে তা ইউক্রেন স্পষ্ট করে জানায়নি। তবে ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, শক্তিশালী যুদ্ধবিমান তাদের দরকার। এই বিমানের মধ্যে আছে, এফ ১৬, এফ ৩৫ এস, রাফায়েল, ইউরোফাইটার, টর্নেডো, গ্রিপেনের মতো যুদ্ধবিমান।

জার্মানির সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ব্রুনো লেটে ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘অনেক ইউরোপীয় দেশ এখন এফ ১৬-র জায়গায় এফ ৩৫ সি নিচ্ছে। ইউক্রেনের কাছে যে যুদ্ধবিমান ছিল, তা যুদ্ধের প্রথমেই ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন তাদের কাছে পুরনো সোভিয়েত আমলের কিছু যুদ্ধবিমান আছে। ফলে এই একটা দিকে তারা বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে।’

আমেরিকা কী বলছে?
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগে জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রনকে যুদ্ধবিমান দেয়ার বিরোধী। হোয়াইট হাউস থেকে গত জুন মাসে জানানো হয়েছিল, ইউক্রেনকে ইউরোপীয় দেশগুলো মিগ ২৯-এর মতো যুদ্ধবিমান দিচ্ছে।

সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, কিছু মার্কিন সেনা অফিসার ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেয়ার পক্ষে। তারা এখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি বুঝাচ্ছেন।

জার্মানি ও ইউরোপের দেশগুলো
জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেয়ার বিপক্ষে। তার মতে, এই বিষয়ে আগে সার্বিক আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।

কিন্তু ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত সোমবার বলেছেন, নীতিগতভাবে তিনি কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

নেদারল্যান্ডসের প্রধানমান্ত্রীও বলেছেন, তিনি খোলা মনেই সবকিছু বিবেচনা করতে রাজি। পোল্যান্ড ইউক্রেনকে এফ ১৬ দিতে রাজি। ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান না দেয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশগুলোর যুক্তি হলো- এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান হাতে পেলে কিয়েভ রাশিয়ার ভেতরে গিয়ে আঘাত হানতে পারবে। আর সেটা তারা চাইছেন না। সেজন্যই বিষয়টা এতটা স্পর্শকাতর।

এ বিষয়ে রাশিয়ার বক্তব্য
রাশিয়া চায় না, ইউক্রনকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দিক পশ্চিমা দেশগুলো। তারা জানিয়ে দিয়েছে, লিওপার্ড ট্যাঙ্ক পাঠানোর ফলে শুধু যে রুশ সেনা মারা যাবে তাই নয়, সাধারণ মানুষও মারা যাবে। এরপর তারা চায় না যে- ইউক্রেন অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পাক।

রাশিয়া তো জার্মানিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।

কী হতে পারে?
ইউরোপীয় দেশগুলো প্রথমে ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক দিতে চায়নি। পরে তারা তা দিয়েছে। তেমনই ইউক্রেন আশা করছে, তারা যুদ্ধবিমানও দেবে।

বিশেষজ্ঞ লেটে বলেছেন, ‘যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে, ইউরোপের দেশগুলো এখন ইউক্রেনের চাহিদা মেনে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে পারে। যাতে ইউক্রেন পাল্টা আঘাত হানতে পারে।’
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার জন্য ওআইসি সদস্যদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রাফা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেয়ার আদেশে হামাসের প্রতিক্রিয়া হিলি বন্দর দিয়ে ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর : মন্ত্রী রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসি’র সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টর্চার সেলে শিশু-বৃদ্ধদের পেটাতেন মিল্টন : হারুন গাজা ত্যাগ করবে না ইউএনআরডব্লিউএ শৈলকুপায় সাংবাদিক মফিজুলের ওপর হামলা : প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন বিএনপির ভাবনায় ক্লান্ত ওবায়দুল কাদের : রিজভী অনলাইন জুয়ায় ২০ লাখ টাকা হেরে যুবকের আত্মহত্যা আল-জাজিরার অফিসে ইসরাইলি পুলিশের হানা

সকল