বৃহস্পতিবার ফের একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছে দক্ষিণ ইউক্রেনের ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে। কেন্দ্রটি আপাতত রাশিয়ার দখলে। ওই কেন্দ্রের ভেতরে রাশিয়ার সেনা আছে বলে অভিযোগ। ইউক্রেনের প্রশাসন জানিয়েছে, পরমাণু কেন্দ্রটির ভেতর যেখানে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি আছে, সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে। এছাড়াও তেজস্ক্রিয় পদার্থ মজুত রয়েছে যে সকল জায়গায়, সেখানেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে বড়সড় কোনো ক্ষতি হয়নি।
জাতিসঙ্ঘ ও তুরস্কের উদ্যোগে এক চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে আবার খাদ্যশস্য রপ্তানির পথ সুগম করা হয়েছে। এর ফলে কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে ইউক্রেনের শস্য আবার বিশ্ব বাজারে পৌঁছাতে পারছে। রাশিয়ার হামলার প্রায় পাঁচ মাস পর এই প্রথম এমন এক বোঝাপড়া সম্ভব হলো।
গত সপ্তাহেও পরমাণু কেন্দ্রটিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। যার জেরে একটি ইউনিট বন্ধ করে দিতে হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা জানায়, বৃহস্পতিবার যেভাবে সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, তাতে যে কোনো সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। একবার তেজস্ক্রিয় বস্তুতে বিস্ফোরণ হলে তা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা।
ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার শেল বা রকেট এসে পড়েছে ওই কেন্দ্রে। যদিও রাশিয়া এখনো পর্যন্ত তা স্বীকার করেনি। এ বিষয়ে তারা এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। গত সপ্তাহে রাশিয়া জানিয়েছিল, ইউক্রেন ওই পরমাণু কেন্দ্রে আক্রমণ চালিয়েছে। কারণ রাশিয়ার সেনা ভেতরে আছে।
ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার সেনা পরমাণু কেন্দ্রের ভেতর থেকে আক্রমণ চালাচ্ছে। সেকারণে তাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পরমাণু কেন্দ্রকে সামনে রেখে রাশিয়া ইউক্রেনকে ব্ল্যাকমেইল করছে।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর জাতিসঙ্ঘের প্রধান অ্যান্টোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, ওই পরমাণু কেন্দ্রটিকে সেনাহীন করতে হবে। রাশিয়াকে দ্রুত ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন তিনি। তার বক্তব্য, পরমাণু কেন্দ্রে এই ধরনের পরিস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। যেভাবেই হোক ওই এলাকাটিকে সেনামুক্ত করতে হবে।